মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,নোয়াখালী চৌমুহনীতে পূজা মন্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুসহ বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের ১৫ জনের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল।
গত সোমবার জেলার জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সাইদীন নাহীর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ফয়সাল ইনাম কমল ওই তথ্য দেন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি তদন্তের স্বার্থে ঘটনার সাথে জড়িত নেতাকর্মি কারো নাম বলতে রাজি হননি।
এসময় তিনি নোয়াখালীর বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে সুধারাম, হাতিয়া, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব কর্তৃক বিশেষ অভিযানে ৮ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তথ্য দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি, শুল্যকিয়া গ্রামের নুরুল্লার ছেলে মোঃ সুমন (৩৩), বেগমগঞ্জ উপজেলার করিমপুরের আলমগীর হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন নিশান
(২০), একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে রনি (২৮), মীরওয়ারিশপুর গ্রামের মৃত রফিকউল্লাহর ছেলে বিএনপি কর্মী মোঃ ইউসুফ (৩০), হাজীপুরের নুরুজ্জামানের ছেলে আক্তারুজ্জামান (৫০), সোনাইমুড়ি উপজেলার রশিদপুরের মৃত
ফজলুল হক পাটোয়ারীর ছেলে রবিউল হোসেন রনি (৩২), লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের চরভুতা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাহেদুল ইসলাম (২২), হাতিয়ার বুড়িরচরের গুললাখালি গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে হাতিয়া পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ছেরাজুল হক বেচু (৪২)।
এসপি মো.শহীদুল ইসলাম আরো জানান, আসামি ইমরান হোসেন নিশান পূর্বে গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহিম সুজনসহ কয়েকজন চৌমুহনী দক্ষিন বাজারের রাম ঠাকুর আশ্রম মন্দিরে লুটপাট করে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে তাদের
মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে আসামি ইমরান হোসেন নিশান ৮ হাজার টাকা ভাগে পায়। ভাগে পাওয়া টাকার মধ্যে ৫ হাজার ৫শ টাকা সে খরচ করে, বাকী আড়াই হাজার টাকা তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়।