কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জাপা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে আহত হয়েছেন দু’জন সমর্থক। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (০৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পুরাতন বিজিবি ক্যাম্প এলাকায়।
আহতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এটিএম ফজলুল হকের (ঘোড়া মার্কা) সমর্থক আমিনুর রহমান (৬৪) ও শাফিউল আলম (৩৪)। সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা ও ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার জাপা প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থক উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পুরাতন ক্যাম্পের পাড় এলাকায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দেয়ার অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এটিএম
ফজলুল হকের (ঘোড়া মার্কা) সমর্থক আকতার আলী নামের এক ব্যাক্তি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় এবং তাকে মারধর করে জাপা সমর্থকরা।
পরে খবর পেয়ে ঘোড়া মার্কার সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুর সহ আরও কয়েকজন ঘটনাস্হলে উপস্থিত হয়। পরে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্য শুরু হয়। এতে ঘোড়া মার্কার সমর্থক আমিনুর মেম্বার (৬৪ ) ও শাফিউল (৩৪) আহত হয়। আহত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
আহত আমিনুর মেম্বার বলেন, আমি লাঙ্গলের সমর্থকদের ভোটারদের বাড়িতে টাকা দেয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থলে গেলে আমাকে জাপা প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার বুকে ঘুষি ও এলোপাথারী মারধর করে। এতে আমি গুরুতর আহত হই।
এ বিষয়ে জাপা প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ভোট চাইতে ওই এলাকায় গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুল হকের সমর্থকরা আমাকে আটকিয়ে আমার জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
খবর পেয়ে আমার সমর্থকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আমি কারো গায়ে হাত দেইনি। আমার বিরুদ্ধে এটি একটি ষড়যন্ত্র।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এটিএম ফজলুল হক বলেন, জাপা প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নিজে ভোটারদের বাড়িতে টাকা দেয়ায় আমার সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে আমার সমর্থক আমিনুর মেম্বার ও শাফিউল আহত হন। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জাপা প্রাথী আমাকে হেয় করতে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এ এস এম সায়েম বলেন, আহত দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিবাদমান দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।