কুড়িগ্রামে উত্তরবঙ্গ যাদুঘরে জেলা প্রশাসন প্রণিত বীরগাথা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মতি স্মারক উন্মাচন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে স্মতিস্মারক উন্মাচন করেন রেল মন্ত্রী অ্যাডভােকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি।
এসময় মন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্মানাধীন উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের জমি ও অবকাঠামা নির্মাণে সহযাগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান কী ধরণের মুক্তিযােদ্ধা ছিলেন জানিনা।
তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সব স্মতি মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরােধী শক্তি আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুণবার্সিত করেছেন। ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে নতুন প্রজন্মের সামনে ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল তুলে
ধরার প্রয়ােজন রয়েছে এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার। এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মতি ধরে রাখতে যাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এতে সহযােগিতা করছে সরকার। এই স্মারক উন্মােচনের মাধ্যমে এই জেলার ৯উপজেলার
মুক্তিযােদ্ধাদের স্মতি সংরক্ষণের চমৎকার একটি উদ্যােগ নেয়া হয়েছে। এতে করে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযােদ্ধাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযাগ পাবে। আমরা এজন্য উত্তরবঙ্গ যাদুঘরকে সাধুবাদ জানাই।
এসময় মন্ত্রীর সাথেনউপস্তিত ছিলেন রেলপথ মন্তণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ্, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল হাসান, বিভাগীয় রেলওয়ের
ব্যবস্থাপক শাহ্ সুফি নুর মোহাম্মদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মােহাম্মদ ররজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযাদ্ধা সিরাজুল ইসলাম টুকু, বীর প্রতীক আব্দুল হাই, উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভােকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন প্রমূখ।
এসময় দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ ও কুড়িগ্রাম জেলা কৃষকলীগ চিলমারী-রমারী দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ, চিলমারী থেকে সন্ধ্যাকালিন আন্তনগর ট্রেন চালু, রৌমারী-জামালপুর রেলপথ নির্মাণ, কুড়িগ্রাম-সােনাহাট রেলপথ সম্প্রসারণ, রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ উন্নিতকরণসহ বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।