কুড়িগ্রাম জেলার চররাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে জনস্বার্থ পরিপন্থি কাজের জন্য চেয়ানম্যান পদ থেকে বহিষ্কৃত হুমায়ূন কবীর আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
গত ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাকে এ মনোনয়ন দেন। দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত হুমায়ূন কবীর মনোনয়ন পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
চেয়ারম্যানপ্রার্থী হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত হাটবাজার ইজারা নিলাম প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি বিধান
লঙ্ঘন, ভিজিডি কার্ড প্রদান ও নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনিয়ম, কার্ডের ডুপ্লিকেশন এবং হাটের শেড ও সেতুর মালামাল সরকারি নির্দেশ মোতাবেক নিলাম না করার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে
প্রমাণিত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯-এর ৩৪(১) অনুয়ায়ী তাকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’ স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত
চিঠিতে তা নিশ্চিত করা হয়। চররাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার বলেন, হুমায়ূন কবীর দুর্নীতির কারণে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রে
যে রেজল্যুশন পাঠিয়েছে, তাতে তার বহিষ্কারের বিষয়টি জেলা থেকে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত
করেছেন। এ প্রসঙ্গে হুমায়ূন কবীর বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এটা করা হয়েছে। আমি আইন মেনেই সব কাজ করেছি। তাই আবারও মনোনয়ন পেয়েছি।