মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জের পল্লীতে রাতে টর্চলাইটের আলো ফেলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ উভয়পক্ষের অর্ধশত লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায়- গুলফান বিবি (৩০), মনিরা বেগম (২০), সুজিনা বেগম (১৯), আবু তালিব (৯), জিল্লুর রহমান (১১), রাজু মিয়া (১৩), ফজল হক (৬০), আশিক মিয়া (৫৫),
দিলশান মিয়া (৩৫), ফুলরাজ মিয়া (৩০), মনরাজ মিয়া (২৮), ধনরাজ মিয়া (২৫), এমদাদুল হক (৪০), জহির মিয়া (৩৫), সোহাগ মিয়া (২২), সাদির মিয়া (৩৫), শামসুল ইসলাম (৩৫), আনহার
মিয়া (২৩), লিটন মিয়া (২০), কাজল মিয়া (৫০), আবু সায়েদ (২১), আতিক মিয়া (২৫), হাবিবুর রহমান (২৪) কে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (৮ ডিসেম্ভর) রাত অনুমান সাড়ে ৯টায় জেলার দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কদম্বতলী গ্রামে চার্জার টচলাইটের আলো চোখে
ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারিফ উল্লা (৭০) ও তাজুল ইসলাম (৬৫) এর লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাথর নিক্ষেপসহ দেশীয় অস্ত্রে আঘাতে নারী ও শিশুসহ উভয়পক্ষের অর্ধশত লোকজন আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এবং আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দিরাই থানার ওসি আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন- বর্তমানে
এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষিতে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সংঘর্ষকারী দলের দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল।