মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটায় আবারও জমজমাট হয়ে উঠেছে অবৈধ কোয়ারী বাণিজ্য।
স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল আইন অমান্য করে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে চাঁদা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে বালি ও পাথর উত্তোলন করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় অবৈধ কোয়ারীতে পাথর উত্তোলনের সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে ১জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম- আজহারুল ইসলাম (৩০)।
সে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে। এঘটনার প্রেক্ষিতে রাত ৯টায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল সিন্ডিকেডের মাধ্যমে তাহিরপুর সীমান্ত নদী যাদুকাটার বড়টেক, শিমুল বাগান, আদর্শগ্রামসহ
একাধিক স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ কোয়ারী তৈরি করে পাথর উত্তোলন করেছে। উপজেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে বেশ কিছুদিন আগে একাধিক বার অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালি ও পাথর জব্দ করা হয়।
তারপরও থেমে নেই ওই প্রভাবশালী মহলটি। বর্তমানে ঘাগটিয়া গ্রামের রানু মিয়া ও কেপাজ্জলগং পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে মোট অংকের চাঁদা দিনরাত অবাধে বালি ও পাথর উত্তোলন করছে।
গতকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় অবৈধ কোয়ারীতে পাথর উত্তোলনের সময় কেপাজ্জুলের ছোট ভাই আজহারুল ইসলাম মাটি চাপা পড়ে।
পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পাশর্^বর্তী বাদাঘাট বাজারে অবস্থিত লাইফ কেয়ার ডায়গনিস্টিক সেন্টারের নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎকরা মৃত ঘোষনা করেন।
এঘটনার খবর পেয়ে রাত ৮টায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই হাক্কানি বলেন- অবৈধ কোয়ারীতে মাটি পাচা পড়ে ১জনের মৃত্যুর ঘটনায়
রাতেই একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওসি সাহেব ছুটিতে আছেন। তিনি আসার পর অবৈধ কোয়ারীর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।