মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বহুল আলোচিত পর্যটনস্পট বারেক টিলা। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এই স্থানটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন আসে শতশত পর্যটক। কিন্তু বন্যা হাতির উপদ্রব এই পর্যটন স্পটটিতে দিনদিন বেড়েই
চলেছে। আজ রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) ভোরে সীমান্তের কাটা তারের বেড়া অতিক্রম করে ছোট-বড় ৮টি হাতি জেলার তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন স্পট বারেকটিলায় প্রবেশ করেছে। একারণে আগত পর্যটক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে মহা আতংক। বন্যহাতি আক্রমন থেকে
জনসাধারণকে রক্ষা করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে মাইকিং। ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও বিজিবি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) ভোরে যাদুকাটা নদী পার হয়ে ওই নদী সংলগ্ন পর্যটন স্পট বারেকটিলা’র জঙ্গলে অবস্থান নিয়েছে
৫টি বড় ও ৩টি বাচ্ছা হাতি। এসব বন্যহাতির আক্রমণ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ডাক-ঢোল, টিন ও লোহা দ্বারা উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করছে। তবে বন্য হাতিগুলো এখনও পর্যন্ত কারো বসতবাড়ি হামলা করেছে বলে জানা যায়নি। এরআগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর একই ভাবে
ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে যাদুকাটা নদী দিয়ে পর্যটন স্পট বারেকটিলায় ৪টি বন্য হাতি নেমে আসে। তাতে কারো কোন ক্ষতি না হলেও চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির
বলেন- ভারত থেকে আসা বন্য হাতি গুলোকে কেউ যেন উত্যক্ত না করে সেজন্য মাইকিং করে এলাকার লোকজনকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে বন বিভাগের সাথে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক লে.
কর্নেল মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন- এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিজিবি ও পুলিশ যৌথ ভাবে কাজ করছে। আশা করছি বন্য হাতির দ্বারা করো কোন ক্ষতি হবেনা। তবে কেউ যাতে হাতিগুলোকে বিরক্ত না করে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।