শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধউলিপুরে ইউপি কার্যালয়ে হামলা ও মারধরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

উলিপুরে ইউপি কার্যালয়ে হামলা ও মারধরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা ও চেয়ারম্যানের লোকজন কর্তৃক প্রতিপক্ষকে মারধরের ঘটনায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ উঠেছে।

হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান এবং মারধরের ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (২০ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে সেকেন্দার আলী (৫৮) ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি দোকান ঘর ক্রয় করেন।

ঘরটি নেয়ার পর থেকে ওই ইউনিয়নের আতাউর রহমান আতার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় একাধিকবার বিচার শালিস হয়।

বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় আতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সেকেন্দার আলী। এদিকে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে আতাউর রহমান আতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এরপর দোকান ঘরটিকে কেন্দ্র করে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় সেকেন্দার আলীর ছেলে সেনা সদস্য সালাহ উদ্দিন (৩৯) কে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী রাতে ওই দোকান ঘরের

সামনে অবস্থান করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান তাকেসহ তার পরিবারের লোকজনকে ঘরটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।

এ ঘটনায় ওই সেনা সদস্য জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী উলিপুর থানায় সাধারন ডায়েরী করেন (ডায়েরী নং-৯৫৪)।

এদিকে ওই দোকান ঘরকে কেন্দ্র করে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং সেকেন্দার আলীর পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা দাবী করেন, ২০ ফেব্রুয়ারী রোববার দুপুরে সেনা সদস্য সালাহ উদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকেন।

এ সময় আমাকে কার্যালয়ে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন এর প্রতিবাদ করলে সালাহ উদ্দিন তাদের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

এরপর তারা সালাহ উদ্দিনকে ইউপি কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখেন। তালাবদ্ধ অবস্থায় সালাহ উদ্দিন কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন বলে তার অভিযোগ।

চেয়ারম্যানকে হুমকি ও ইউপি কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুরের ঘটনায় থানায় ওইদিন রাতেই থানায় অভিযোগ করা হয়।

অপরদিকে সেনা সদস্যর পিতা সেকেন্দার আলী অভিযোগ করেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি ও তার লোকজন উক্ত দোকান ঘরে ব্যবসা করতে হলে তাদের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে দাবী করে আসছিলেন।

চাঁদা না দিলে থেতরাই বাজারে আমাকে ব্যবসা করতে দিবেন না বলে হুমকি দেন। ঘটনার দিন গত ২০ ফেব্রুয়ারী চেয়ারম্যাসহ তার লোকজন সালাহ উদ্দিনকে থেতরাই বাজার থেকে তুলে নিয়ে যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের ভিতরে আটকে রেখে মারধর করেন।

খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাকে(সেকেন্দার আলী) ও আমার স্ত্রী শাহনাজ বেগমকেও মারধর করে গুরুত্বর জখম করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করেন।

ঘটনার প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউপি কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদান্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ