দেশে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই ঊর্ধ্বগতির কারণ হিসেবে জনগণের সচেতনতার অভাব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে উদাসীনতাসহ বিভিন্ন কারণকে দেখা হচ্ছে।
এর মধ্যে বাজার ও গণপরিবহন থেকে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
সম্প্রতি আইইডিসিআরের থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, বাজার ও গণপরিবহন থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে ৬১ শতাংশ। অন্যদিকে জনসমাগমস্থল থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি শতকরা ৩৫ ভাগ।
আইইডিসিআর জানায়, গত ৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার করোনা রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশেরই বাজারে যাওয়া এবং গণপরিবহন ব্যবহারের ইতিহাস আছে। এর বাইরেও সভা-সেমিনারসহ অন্য জায়গা থেকেও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আইইডিসিআর।
জনসমাগমস্থল, উপাসনালয়, এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে ভ্রমণ, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, পর্যটনকেন্দ্র এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে করোনা ছড়াচ্ছে বলেও উল্লেখ করে আইইডিসিআর।
এদিকে করোনায় দেশে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৬৬১ জনে। এর আগে গত ৮ এপ্রিল দেশে করোনায় সর্বোচ্চ ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
করোনাভাইরাস নিয়ে শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৪৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে। এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জন।
এর আগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দেশে ৭ হাজার ৪৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরও ৬৩ জন।