শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার ছামিদুল হকের মেয়ে মোসাম্মদ ছামিরন নেসা। বিগত ৫ বছর পূর্বে একই এলাকার শেরপুরের নালিতাবাড়ী ফজলুর রহমান ফরহাদ(২৭) এর সাথে সুখের সংসার
গড়ার রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।সংসার সুখের করতে কর্মজীবনে গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানাএলাকায় ভাড়া বাসাতে বসবাস করতেন। সাংসারিক জীবনে উভয়েই
স্যাটার্ন নামক গার্মেন্টস চাকরি করতেন।তাদের সংসারে ফারজানা নামে কন্যা সন্তান রয়েছে, যার বয়স ৪ বছর। ভালোভাবেই অতিবাহিত হচ্ছিল তাদের সংসার।
হঠাৎ সুখের সংসারে যেন নেমে আসে ভয়ংকর অমানিষার নিকষ কালো অন্ধকার। ছামিরন জানতে পারেন তার নিরাপদ আশ্রয় তার স্বামী পূর্বে বিবাহিত ছিলো এবং বর্তমানে সে তার ডিভোর্স
দেয়া পূর্বের স্ত্রীর নিকট যাতায়াত সহ পরনারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে ।এই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি সাংসারিক অশান্তি। এমন অবস্থায় ১৬ই মার্চ ২২ ইং তারিখে ফরহাদ শিশু কন্যা
ফারজানাকে গাজীপুর চৌরাস্তা দাদীর কাছে রেখে ছামিরনকে রাতের সুবিধাজনক সময়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। লাশ ঘরে রেখে ঠান্ডা মাথায় বাহির দিয়ে ঘর আটকিয়ে পালিয়ে জায় ।
প্রতিবেশীরা দুপুর পর্যন্ত ঘর বন্ধ দেখে ছমিরনের পরিবার ও জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানায় খবর পাঠায়। টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট লিখে লাশ ময়না তদন্তের
জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেলে প্রেরণ করে । এই বিষয় ছমিরন নেছার মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা নাম্বার ১৮(০৩)২২ ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
হত্যা ঘটনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্বামী ফরহাদকে ০৭ ঘন্টার মধ্যে শেরপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করে। ফজলুর রহমান ফরহাদ হত্যার ঘটনা স্বীকার করে বিজ্ঞ
আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ,
উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাব্বির হোসেন, টঙ্গী পশ্চিম থানা।