কুড়িগ্রামের উলিপুরে চাঁদনী নামের ৩ বছরের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের মালঝার পাড় গ্রামে। বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমিন সুলতানা শিশুটিকে মুত্যু ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, মৃত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা হাতিয়া ইউনিয়নের মালঝার পাড় গ্রামের বিপ্লব মিয়ার প্রথম স্ত্রী লাকী বেগম দুই বছরের শিশু চাঁদনীকে
রেখে মারা যান। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর গত ৭-৮ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের কামার টারী গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। বিপ্লব ঢাকায় বিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করায় শিশুটি তার সৎমা রুবিনা বেগমের কাছে থাকতেন। বুধবার সকাল দশটার দিকে রুবিনা ও নেপালি নামের প্রতিবেশি এক
ননদ সহ শিশুটিকে ভাত খাওয়ান। ভাত খেয়ে খেলার সময় ধীরে ধীরে চাঁদনী অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। সৎমা রুবিনা বেগম বলেন, সকালে আমি তাকে মাছ ভাত খেতে দেই। খাওয়া
শেষে খেলতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে যায়। নেপালি বেগম বলেন, চাঁদনীকে আমি নিজে মাছ ভেজে ভাত খেতে দেই। ভাল ছাওয়া ভাত খাওয়ার পর খেলতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে যায়। পড়ে গ্রাম্য চিকিৎসককে দেখালে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলে। শিশুটির দাদা ইলিমুদ্দিন বলেন, চাঁদনীর মা মারা যাওয়ার
পর থেকে সৎ মায়ের কাছেই থাকত। জরুরী কাজে কুড়িগ্রামে যাই সেখানেই চাঁদনীর অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি সে মারা গেছে। তবে কি কারণে মারা গেছে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারি সার্জেন্ট ডা. শারমিন
সুলতানা বলেন, এটা অস্বাভাবিক মৃত্যু। শিশুটির মুখ থেকে ফেনা বের হয়েছিল। তবে শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, শিশুটির মরদেহ
ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।