একজন ইন্ডাস্ট্রিতে স্ত্রীয়ের নতুন প্রেমিকের গুঞ্জন নিয়ে বিব্রত। আর একজন ২০২১’র নির্বাচনের পর স্ত্রীকে বিচ্ছেদ দেওয়ার আশায় দিন গুণছেন। প্রথম জন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী রোশন সিংহ। দ্বিতীয় জন অভিনেত্রী, সাংসদ নুসরাত জাহানের স্বামী নিখিল জৈন।
গত বছর পুজোর পর থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন রোশন এবং শ্রাবন্তী। আইনি পদ্ধতিতে বিচ্ছেদ না হলেও একে অন্যের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ রাখেন না তারা। শ্রাবন্তীর রাজনীতিতে যোগদানের পর তাকে সৌজন্যমূলক শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রোশন।
অন্যদিকে নুসরাতও এখন বাবা-মা আর বোনের সঙ্গে বালিগঞ্জে থাকেন। কিন্তু কোনো দম্পতিরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। এই প্রসঙ্গ তুলতেই রোশন বললেন, নির্বাচনের আগে কিছুই হবে না। তবে দু’বছর আগে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় নামে একটা মেয়েকে আমি বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু আজ রাস্তায় ওকে দেখলে আমি চিনতেই পারতবো না। ওর মুখটা আমি ভুলে গিয়েছি।
কিছুদিন আগে নিখিল জানিয়েছিলেন, তার আর নুসরাতের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে তিনি মুখ খুলবেন না। সেই প্রসঙ্গ ওঠায় তিনি বলেছেন, যেদিন বিবাহবিচ্ছেদ হবে, সেদিন আমি ঠিক জানিয়ে দেবো। এখনো সেই সময় আসেনি।
অর্থাৎ বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনাকে তিনি নস্যাৎ করেননি। বরং ইঙ্গিতে বুঝিয়েছিলেন, ২০২১’র নির্বাচনের আগে এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
রোশনও জানান, বিরূপ কোনো মন্তব্য করলে বা তিনি যা বলতে চাইছিলেন সেটা এই মুহূর্তে বললে, মানহানির মামলা পর্যন্ত হতে পারে। তবে তিনি জানিয়েছেন, আগে অনেকেই সুপারস্টার স্ত্রীর আয়ের উপর তিনি নির্ভরশীল বলে মন্তব্য করেছিলেন। তখন কোনো উত্তর দেননি ঠিকই।
তবে এবার মুখ খুললেন। দিলেন আয়ের খতিয়ান। তার কথায়, ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই আমি একটি এয়ারলাইন্সের ক্যাবিন সুপারভাইজার হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করি। তখন আমার মাইনে ছিলো ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। চাকরি করতে করতেই আমি নিজের দু’টো জিম খুলে ফেলি। শ্রাবন্তীর উপর নির্ভর করলে আলাদা হওয়ার পরে আমার না খেয়ে মরে যাওয়া উচিত ছিলো।
নিখিল এবং রোশন দু’জনেই নির্বাচনের ফলফল ঘোষণার অপেক্ষায়। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে যুদ্ধ চলছে ক্ষমতা দখলের। অন্য দিকে তাদের বৈবাহিক জীবন দখলদারি ছেড়ে মুক্তি চাইছে।