মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জে ছায়ার হাওরের বেরী বাঁধ ভেঙ্গে কয়েক হাজার বোরো ফসল পানিতে ডুবে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল)) ভোরে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার সুলতানপুর গ্রাম সংলগ্ন ছায়ার হাওরে অবস্থিত বোরো ফসল রক্ষার পিআইসির ৮১নং মাউতির বাঁধটি ভেঙ্গে যায়।
এর ফলে সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা, পাশর্^বর্তী নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী, মদন ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন উপজেলার সহশ্রাধিক কৃষকের সোনালী ফসল ডুবে যায়।
এব্যাপারে কৃষকরা জানান- হঠাৎ করে ভোরে মাউতির বাঁধটি ভেঙ্গে ছায়ার হাওরে পানি ঢুকতে থাকে। এর ফলে কৃষকদের প্রায় অর্ধেক জমি ডুবে গেছে।
এই হাওরে কৃষকরা যে টুকু ধান কেটে জমিতে রেখে ছিল তাও আর আনতে পারবেনা। জমির ধান জমিতেই রয়েগেছে। তারপরও কৃষকরা তাদের জমির ধান কাটতে হাওরে নেমে চেষ্টা করছেন।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব জানান- নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। তবে এই প্রকল্পটি অন্য প্রকল্পের চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না।
কিন্তু গতকাল শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। মনে হয় ওই সময় তদারকিতে কেউ ছিলনা। ভোরে পানির চাপে বাঁধটি ভেঙ্গেছে।
তবে হাওরের প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ করেছে কৃষকরা। বাকি ধানও কাটা হয়ে যাবে। তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই।
শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ^জিৎ চৌধুরী নান্টু বলেন- এই হাওরের সবচেয়ে বেশি জমি শাল্লা উপজেলার কৃষকদের।
আর কিছু জমি রয়েছে পাশর্^বর্তী নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী, মদন ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন উপজেলার কৃষকদের।
কিন্তু হঠাৎ করে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ছায়ার হাওরের অর্ধেক জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। আর অনেক কষ্ঠ করে অর্ধেক ধান কাটা হয়েছে।
সোনালী ফসল হারিয়ে হাওর এলাকার কৃষকদের মাঝে হাহাকার শুরু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম সাংবাদিকদের
জানান- ছায়ার হাওরে ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি রয়েছে। তার মধ্যে গতকাল শনিবার পর্যন্ত প্রায় ৯৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। আর বাকি ফসল তলিয়ে যাওয়ার আগেই কৃষকরা কাটার চেষ্টা করছেন।