বাড়ি থেকে থানায় সুস্থ গেলেও ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে। সরাইল থানা হেফাজতে নজির আহমেদ সাফু (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে।
গত ২২/৪/২০২২ ইং বৃহস্পতিবার রাতে সরাইল সদর ইউনিয়নের নিজ সরাইল মোল্লা বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
সাফুর বড়ভাই জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির বলেন, একটি বাড়ি কেনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় মেম্বার মোশাহেদ উল্লাহর বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষ হেলাল মিয়ার ছেলে জুম্মান মিয়া বৃহস্পতিবার রাত পৌঁনে ১০টার দিকে সাফুর বাড়ির একটি কক্ষে প্রবেশ করে।
এ সময় এলাকার লোকজন ও বাড়িতে জড়ো হন। এরইমধ্যে সরাইল থানার এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাড়িতে গিয়ে জুম্মান ও সাফুকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
তাফছির আরও বলেন, থানা গেটে যাওয়ার পর শুনতে পাই আহত অবস্থায় সাফুকে সরাইল হাসপাতালে পুলিশ নিয়ে গেছে। হাসপাতালে গিয়ে তার মৃত্যু সংবাদ শুনতে পাই।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সাফুর মৃত্যু হয়েছে। পুরো ঘটনায় মেম্বার মোশাহেদ উল্লাহ ও পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। একটি কুচক্রী মহল সাফুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। থানায় আনার পর সাফু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত সরাইল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে তাফছির বাদী হয়ে মেম্বার মোশাহেদ উল্লাহসহ ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার ২নং আসামি জুম্মানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরাইল গ্রামের মোল্লাবাড়ির হাফেজ উবায়দুল্লাহর ছেলে সাফু। সাফুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।