মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ভূমিহীন মুক্ত হওয়ার পথে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা । স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মেয়রদের দেওয়া ভূমিহীন সনদের ভিত্তিতে যাছাই-বাচাই করে
সেনবাগ উপজেলা ১২৫জন ভূমিহীন পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে নতুন ঘর। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে এসব পরিবারের হাতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঈদ উপহার হিসেবে জমির দলিলসহ বাড়ি ও চাবি হস্তান্তর করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্প বাস্তবায়নে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা প্রশাসন উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকা থেকে তিন একর ৭৫ শতাংশ সরকারি খাস সম্পত্তি উদ্ধার করে সেখানে ৭৯ পরিবারের বসতঘর নির্মান করে দেয়।
এছাড়াও আরো ৪৬ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ছিলোনিয়া গ্রামে ৩৬ শতাংশ ও বীজবাগে ৩০ শতাংশ জমিন ক্রয় করে
সেখানে ৪৬ টি পরিবারকে বসতঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। যা আগামী জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হবে।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সূত্র জানায়, আশ্রয়ন-২ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০ কোটি ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মোট ১শ ২৫ টি ভূমিহীন
পরিবারের জন্য ঘর নির্মান কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করে বলেন, প্রথম ধাপে সেনবাগের শায়েস্তানগর গ্রামের ৮টি পরিবারকে ও ডমুরুয়া ইউপির পাইখাস্তা গ্রামের ১২টি
পরিবারকে এবং দ্বিতীয় র্পযায়ে পাইখাস্তায় গ্রামে আরো ২৫টি পরিবারকে গৃহহস্তান্তর করা হয়। এরপর তৃতীয় পর্যায়ে আবারো পাইখাস্তা আশ্রয়ন প্রকল্পে আরো ৩৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারে বসতের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজ সমাপ্তির দিকে।
এ ছাড়াও ৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাথা গোজার ঠাই করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সেনবাগ উপজেলার অজুনতলা ইউনিয়নের ছিলোনিয়া গ্রামে ৩৬ শতাংশ ও বীজবাগ
ইউনিয়নে ৩০ শতাংশ জমিন ক্রয় করে সেখানে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানকাজ সমাপ্তির পথে। প্রথম ধাপে ১২টি দ্বিতীয় ধাপে ২৫ ভূমিহীনকে জন্য বসতঘরগুলোর নির্মানকরে দেওয় হয়।
এবং তৃতীয় ধাপে ৩৪ জন ভূমিহীনের জন্য বসতঘরগুলোর নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশ্রয়ন প্রকল্পে নাগরিক সুবিধার জন্য প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ ,বিশুদ্ধ পানিয় জলের জন্য বসানোর হয়েছে টিউবওয়েল।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পূর্বে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা মাথা গোজার ঠাই পেয়ে খুশি হলেও তাদের অভিযোগ ১২ পরিবারের জন্য বসানো হয়েছে একটি করে টিউবওয়েল যার অধিকাংশ
অকেজো হয়ে পড়েছে , এই জন্য তারা বিশুদ্ধ পানিয় জলের অভাবে রয়েছে। এছাড়া প্রকল্পে পুকুর থাকলেও নেই পুকুরের ঘাট, যদি পুকুরের ঘাটলা তৈয়ার করে দেওয়া হয় তা হলে তাদের অনেক উপকার হতো।
এছাড়াও আশ্রয়ন প্রকল্পের এক থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে নেই কোন মসজিদ, মাদরাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তাদের দাবী ইবাদত করার জন্য একটি মসজিদ, শিশুদের লেখা পড়ার জন্য মাদরাসা অথবা স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্বে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা তাদের বসতঘরের আঙ্গিনায় বিভিন্ন ফলজ ও সবজী গাছ লাগিয়ে সেখান থেকে তাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরন করছেন।
এব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানায় পর্যায় ক্রমে সকল সুযোগ সুবিদা বাস্তবায়ন করা হবে।