বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের (মেটা) হেড কোর্য়াটারে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (মেশিন লার্নিং) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এর সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি ডুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. ওবায়দুর রহমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেন, পুরো সিএসই, ডুয়েট পরিবার তোমার দুর্দান্ত সাফল্যে গর্বিত। তুমি একটি নতুন যুগের সূচনা করেছ এবং অবশ্যই জুনিয়ররা তোমার এই কৃতিত্বে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হবে।
কিভাবে স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি বরাবরই মনে করতাম ফেসবুক, গুগলের মতো জায়েন্ট কোম্পানিতে শুধুমাত্র অধিক মেধাবীরাই চাকরির সুযোগ পান। শুরুতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না কারণ কখনো প্রোগ্রামিং কম্পিটেশনে অংশ গ্রহণ করিনি। আমেরিকায় পিএইচডি পড়াশোনার শেষ দিকে প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং শুরু করি এবং চাকরির জন্য আবেদন করতে থাকি। যদিও অনেক কোম্পানি থেকে আমি ব্যর্থ হই কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি এবং পরিশেষে মোট ৭ রাউন্ড ইন্টারভিউ নেয়ার মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করা হয়।
এই সাফল্যে কার অবদান সবচেয়ে বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সাফল্যের পিছনে আমার মা-বাবা এবং স্ত্রীর অবদান অনস্বীকার্য। তারা আমাকে সমর্থন ও অনুপ্রেরণা না দিলে এ প্রাপ্তি অর্জন কখনই সম্ভব হত না। এমন সফলতার পর নিজের অনুভূতি জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ বলেন, কঠোর অধ্যবসায় এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে যেকোনো অসম্ভব স্বপ্নকেও জয় করা সম্ভব। আমার সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই উৎফুল্ল এটা জেনে আমি ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি গুগুল, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানে ডুয়েটের অনেক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী চাকরি পাবেন।
দেশকে নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন দেশের অনেক সেক্টর পুরোনো ম্যানুয়াল পদ্ধিতিতে কাজ করে, আমার পরিকল্পনা, সেই সব সেক্টরকে কম্পিউটার সফটওয়ার তৈরির মাধ্যমে অটোমেটেট করা, যেন দেশের জনগণ যেকোনো সার্ভিস অতি দ্রুত ও নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পেতে পারেন।
উল্লেখ্য, এর আগে তিনি সৌদি আরবের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ও আমেরিকার ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি শেষ করে সেখানে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।