কুড়িগ্রামের জলিল বিড়ি কারখানার শ্রমিক অনার্স পড়ুয়া মাঈদুল ইসলাম বাপ্পীকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার সাথে জড়িত ঘাতক খোকন ইসলামকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের
প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এলাকাবাসী কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। এলাকাবাসী ও স্বজনরা মানববন্ধনে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, প্রকাশ্য কুপিয়ে বাপ্পীকে হত্যার ঘটনাটি দিবালোকের মত সত্য হলেও ঘটনার ৯ দিন পেরিয়ে গেছে পুলিশ ঘাতক খোকনকে
গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অতিউৎসাহী বলে তারা অভিযোগ করেন। আন্দোলনকারীরা অবিলম্বে ঘাতক খোকনকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।
মানববন্ধন শেষে বাপ্পি হত্যার বিচারের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর হস্তান্তর করে বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, গত ৩০ মে জলিল বিড়ি কারখানায় বিকাল বেলা বিড়ি তৈরির কাজ ভাগাভাগি নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে কারখানার ভিতরেই সহকর্মী
মাঈদুল ইসলাম বাপ্পী(২২) কে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় খোকন ইসলাম। এ ঘটনায় বিড়ি শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং স্তম্ভিত হন এলাকার মানুষ জন। এঘটনার পরের দিন (৩১মে) নিহত বাপ্পীর অসহায় মা বিউটি বেগম বাদি হয়ে সদর থানায় ঘাতক খোকনকে আসামি করে একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত মাঈদুল ইসলাম বাপ্পী পৌরসভার মাটিকাটা মোড় এলাকার খাদেম আলীর পুত্র ও মজিদা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র। নিহত মাঈদুল ইসলাম অনার্সে পড়াশুনার পাশাপাশি বিড়ি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত। অভিযুক্ত খোকন
একই এলাকার মৃত বোবা নজিরের পুত্র। তারা দুজনই কুড়িগ্রাম-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শিল্পপতি পনির উদ্দিন আহমেদের জলিল বিড়ি কারখানার শ্রমিক। কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার
ইনচার্জ খান মো: শাহরিয়ার বলেন, আসামী খোকন পলাতক রয়েছে, তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের ব্যাপারে জোড়ালো অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।