নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের সোনাদিয়া গ্রামে পরকিয়ার জেরে রুপালী (২০) নামের এক নববধূকে জবাই করে হত্যা করেছে স্বামী। এঘটনায় পুলিশ ঘাতক
স্বামী ইউসুফ নবী প্রকাশ রুবেলকে (২৬) গ্রেফতার করেছে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা ছোরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রোববার
রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের আবু তাহের বাবুল মেম্বারের বাড়িতে।
হত্যাকান্ড খবর পেয়ে শতশত নারী পূরুষ গৃহবধূর লাশ এক নজর দেখার জন্য ঘটনাস্থলে ভীড় জমায়। নিহত স্ত্রীর গৃহবধূ রুপালী বেগমের বাড়ি কবিরহাট পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডে।
সে ওই ওয়ার্ডের মনির চৌকিদারের বাড়ির সিরাজ মিয়ার মেয়ে।কবিরহাট থানা পুলিশ, রাতেইন লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এবং রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গ্রেরণ করে।
এ ঘটনায় কবিরহাট থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী ইউসুফ নবী প্রকাশ রুবেলকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা ছোরাসহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
সে কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের আবু তাহের বাবুল মেম্বারের বাড়ির মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে রুবেলের সাথে বিয়ে হয় রুপালী বেগমের।
কিছু দিন আগ থেকেই পরকীয়ার জের ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এ পরকীয়ার জেরে শনিবার দিবাগত রাতে তাদের মধ্যে বাকবিন্ডা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে স্বামী রুবেল তার স্ত্রী রুপালীর গায়ের ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফল কাটার চুরি দিয়ে গলায় জবাই করে হত্যা করে। ওই সময় ঘরে থাকা বৃদ্ধ মায়ের শৌরচিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে হত্যাকারীকে আটক।
প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। হত্যাকা-ের ব্যবহৃত রক্তমাখা ছোরা হত্যাকারীর দেখানো মতে ঘরের দরমার ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরকীয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাসুর রফিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের বিয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।