শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
spot_img
Homeবিচিত্র সংবাদনদী হামাক শেষ করিল বাহে, উলিপুরে নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হচ্ছে তিস্তা পাড়ের...

নদী হামাক শেষ করিল বাহে, উলিপুরে নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হচ্ছে তিস্তা পাড়ের মানুষ

কুড়িগ্রামের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম ভাঙন। প্রতিবছরই এ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদী ভাঙনের শিকার হয়। এতে বসতভিটা জায়গা-জমি সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। উলিপুরে এ বছর মৌসুম না

মেনেই শুরু হয়েছে অকালে কাল। জৈষ্ঠ্য ও বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টি আর উজানের ঢল। এই বৃষ্টি আর ঢলের স্রোতে বহুবার ভেসে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। আর এবার ভাঙ্গছে তিস্তা নদীর পাড় আর বসতভিটা সঙ্গে কৃষকের পাটের জমি ও সবজি ক্ষেত। এ পর্যন্ত প্রায়

৩শতাধিক বসতভিটা বিলীন হয়েছে এবং শত শত হেক্টর ফসলি জমি গিলে ফেলেছে তিস্তা নদী। হুমকির মুখে রয়েছে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ, গৃহপালিত পশু ও নদী রক্ষাবাঁধ হিসেবে ব্যবহারের উচু সড়কটি সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগ। এমন ভাঙ্গনের দেখা দিয়েছে এই উপজেলার

তিস্তা বেষ্টিত বজরা ইউনিয়নের সাদা লস্কর গ্রামে। বছরের পর বছর এভাবে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। সোমবার (১৩ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাদা লস্কর গ্রামের প্রায় ৫শত মিটার এলাকার আবাদি জমি এবং ৩’শতাধিক ঘর-বাড়ি

বিলীন হয়ে গেছে। ওই এলাকার মানুষ ঘর-বাড়ি সড়িয়ে দ্রুতই নিরাপদে ফেরার চেষ্টা করলেও মিলছে না কাজের মানুষ। পারিবারিকভাবে যতটুকু সম্ভব ততটুকুই দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র। কাঠের গাছ, ফলের গাছ কম মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছে ফরিয়াদের হাতে। হুমকিতে আছে অসংখ্য

স্থাপনা। নদী ভাঙনের শিকার অনেকেই জানান, এই নদী হামাক শেষ করিল বাহে, বারবার নদী ভাঙনে হামরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। ছাওয়া পোয়া নিয়ে হামরা কডে এলা থাকমো। কুড়িগ্রাম জেলার

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সাদুয়ার দামারহাট এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু হয়েছে। সাদা লস্কর এলাকায় কাজ করার অনুমোদন পেলেই ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করা হবে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ