মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শেষ দাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার তিনটি ইউপি নির্বাচন বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট গ্রহন সম্পূন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ২ নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বেসকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র
(বিএনপি সমর্থক) চশমা মার্কা আবদুল হক সুমন। তিনি পান ৫১১৫ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র মোটরসাইকেলে মার্কার প্রার্থী শাহজাহান সিরাজ পেয়েছেন ৪১৮৮ ভোট। ৫ নং অর্জুনতলা ইউনিয়নে টেলিফোন মার্কার (আওয়ামীলীগের বিদ্রেহী) স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন রিপন
৪০২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি সমর্থক) মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী শাহাদাত হোসেন খান সাধন পেয়েছেন ২৫৪৩ ভোট। ৭ নং মোহাম্মদ পুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আলম ভূঁইয়া রিগান ৪৬১১ ভোট পেয়ে
বেসরকারি ভাবে চেযারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী (জামায়াত) সমর্থক স্বতন্ত্র রজনীগন্ধা মার্কার প্রার্থী আবুল খায়ের পেয়েছেন ২০২৬ ভোট। বুধবার রাত ১১টারদিকে সেনবাগ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও তিন ইউনিয়নের রির্টানিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বেসরকারি ওই
ফলাফল ঘোষনা করেন। এরআগে বুধবার (১৫জুন) সকাল ৮টায় ভোট গ্রহন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইভিএম মেশিন (ইলেট্রিক ভোটিং মেশিন) সমস্যার কারনে উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পৌনে একঘন্টা বিলম্বে ভোট গ্রহন শুরু। এরপরও
কয়েক দফা ভোটিং মেশিন সমস্যরা কারনে ভোট গ্রহন বিলম্বিত হওয়ায় বিক্ষুব্দ চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রাথীর সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে উত্তেজনা সৃষ্ঠি হয়। এসময় কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকা আইনশৃঙ্খলারক্ষা কারী বাহিনী মৃদু লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এছাড়া
উপজেলার ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের দক্ষিন গোরকাটা ফোরকানিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে মহিলা ভেটাদের বুথ কম থাকায় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হলেও শেষ রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত। ওই
কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৯৬ জন ভোটারের মধ্যে নারী ৬৮৪ ও পুরুষ ৭১২ জন। কিন্তু ওই কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারদের জন্য দুটি বুথের ব্যবস্থা রাখা হলেও নারী ভোটারদের জন্য শুধুমাত্র একটি বুথের ব্যবস্থা
থাকায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে। অপরদিকে উপজেলা ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থারা অভিযোগ করেন ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার পর প্রতিকের ঘরে সরকার দলীয় কর্মীরা ভোট দিয়ে দেয়।