মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর সদর উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে সানজিদা আক্তার জেরিন (২০) ও সুবর্ণা মাহাবুব (৩৫)নামের ২
প্রতারক নারীকে গ্রেফতার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ। এ সময় তাদের থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও গোপনে ধারণ অল্লীল ভিডিও উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাগেছে,নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে দীর্ঘদিন যাবত গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রটি জেলার প্রতিষ্ঠিত বিত্তশালী পুরুষদের টার্গেট করে কৌশলে প্রেমের
ফাঁদে ফেলে ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অল্লীল ভিডিও ধারণ করে। এরপর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে ছড়িয়ে দিবে কিংবা পারিবারের সদস্যদের নিকট পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ক্রমাগত টাকা দাবি করত চক্রের সদস্যরা। পুলিশ জানায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০নং আন্ডারচর
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদ (৩৩) প্রতারণার শিকার হয়ে প্রতিকার চেয়ে নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুর এলাকার কাজী কলোনী সংলগ্ন রিফাত হাউজের ভাড়াটিয়া মোঃ
নাঈমের স্ত্রী নুসরাত জাহান তিথি (২৬), নোয়াখালী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের খালেক দারোগার বাড়ির আক্তার হোসেনের মেয়ে সানজিদা আক্তার জেরিন (২০) ও চাটখিল
পৌরসভার দশঘরিয়া হাজী বাড়ির মাহাবুব রব্বানীর স্ত্রী সুবর্ণা মাহাবুব (৩৫)কে আসামি করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশ ওই মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ নারী
প্রতারককে গতকাল বৃহস্পতিবার মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এবং শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে সোপর্দ করা হয়। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।