মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, মরুহম আবদুল মালেক উকিল দলের নেতা হিসেবে নেত্রী কে সম্মান করতেন। নেত্রী একজন সিনিয়র মানুষ হিসেবে আব্দুল মালেক উকিল (চাচা) কে সম্মান
করতেন। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে চিষ্টাচার শিখাচ্ছি না। এ কারণে সমাজ থেকে শিষ্টাচার শব্দটি হারিয়ে গেছে। এবং কেন জানি আমরা নিজরো এত আদর্শিক রাজনৈতিক দল। এ দলটি কেমন জানি বিএনপি-বিএনপি হয়ে যাচ্ছে,জাতীয় পার্টি-জাতীয়-জাতীয় পার্টি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর ছোট্র একটি ছবি, নেত্রীর একটু বড় ছবি, আর আমাদের ছবি বড় করে দিয়ে বাহাদুর সাজার চেষ্টা করে। আবার নিচে অনেক সময় দেখা যায় যিনি সৈজন্যে ছবি দিচ্ছেন তিনি টেম্টু স্ট্যানে চাঁদাবাজি করেন,ইয়াবার ব্যবসা করেন, ফেনসিডিলের ব্যবসা করেন, হয়তো ভূমি
দস্যু,নয়তো সন্ত্রাসী। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হুইপ স্বপন বলেন, তারেক রহমান খালেদা জিয়ার পুত্র বঙ্গবন্ধু কন্যাকে
হত্যা করার জন্য ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালালো। সেই তারেক রহমানের মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনি দুর্নীতির মামলায় আদালত থেকে শাস্তি প্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে গেলেন। জর্জ কোর্টে রায় হলো শাস্তি হলো,হাই কোর্টে গেলো শাস্তি হলো। অ্যাপিলেড ডিভিশনে গেলো শাস্তি
হলো। হয়তো বলতে পারে সরকার কারসাজি করে শাস্তি দিয়েছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা এখন স্বাধীন। হাইকোর্ট সুপ্রীম কোর্টে অকেন বড় বড় আইনজীবি বিএনপির রয়েছে। তারাও লড়াই করেছে। আদালত রায় দিয়েছে কারাদন্ড। তিনি কারাগারে গেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তার খোঁজ খবর রাখতেন। তিনি বলেন,অনেক প্রধানমন্ত্রী এসেছে অনেক প্রধানমন্ত্রী আসবে। অনেক রাষ্ট্রপতি
এসেছে অনেক রাষ্ট্রপতি আসবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মত কেউ আর বাংলাদেশে আসবেননা। জননেত্রী শেখ হাসিনার মত বাংলাদেশের গরিব মানুষকে, মাটিকে,মানচিত্র কে এভাবে দরদ দিয়ে ভালোভাসার মানুষ আর আসবেনা। তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র রাষ্ট্র নেতা যিনি রাষ্ট্রীয়
কোষাগার থেকে এক সঙ্গে ৫০৭টি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। আর কোন মুসলমান রাষ্ট্র নায়ক এক সঙ্গে এত গুলো মসজিদ নির্মাণ করতে পারেনি। নেতাকর্মিদের উদ্দেশে হুইপ স্বপন বলেন,মাঝে মাঝে কষ্ট লাগে আমাদের পরবর্তী প্রজম্মের কর্মিরা বিভান্ত হয়ে নেত্রীর চেয়ে কত গুলো ব্যক্তি
নিয়ে লাফালাফি করে। তখন মনে হয় আমরা রাজনীতিবীদ হিসেবে ব্যর্থ। সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরীর স ালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন,নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। আরো বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সাবেক
এমপি মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন ও সহিদ উল্যাহ খান সোহেল প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছানা উল্যাহ বি.কম।