শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeবিচিত্র সংবাদপদক্ষেপ এনজিও এর প্রতারনার স্বীকার কর্মচারীরা

পদক্ষেপ এনজিও এর প্রতারনার স্বীকার কর্মচারীরা

রুবি, বাংলাদেশে যে বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে তাদের মধ্যে পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র একটি যার মধ্যে মানবিক শব্দ থাকলে ও নেই মানবিকতার ছোঁয়া। মূলত এটি বহুমূখি প্রতিষ্ঠান যেমন মাইক্রোক্রেডিট,লিপ প্রোগ্রাম , ওয়াশ,বিডি ওয়াশ প্রোগ্রাম যা একিই কর্মচারী দিয়ে

করাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও নিয়োগের বা ট্রেনিংয়ের সময় যে সুযোগ সুবিধা কথা অফিস কতৃত্বপক্ষ বলে তা যোগদানের সময় তার তেমন কোন কিছু বাস্তবতায় পাওয়া যায় না। নিয়োগকৃতদের প্রলোভনে ফেলে কিন্তু সে পর্যন্ত যাওয়ার আগেই বা বেতনের হার বেড়ে গেলেই

দেখা যায় তাদের আসল রূপ। হয় অপবাদ দিয়ে না হয় লেনদেন হিসাবে ভুল দেখিয়ে কর্মকর্তাও কর্মচারীদের সাথে প্রতারণা করে। এ কেমন মানবতার মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র সংস্থা । যে সুযোগ সুবিধা দিবে বলে জানায় আর চিটে পুটে পাওয়া যায় না।যেমন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা

পর্যন্ত অফিস চলার কথা থাকলেও শুরু হয় ৭.৩০ মি. এর শেষ কারও জানা থাকে না । এছাড়াও নতুন কর্মীদের নিয়োগে বলা আছে বেতন, লাঞ্চ ভাতা মোবাইল বিল, যোগদানের যাতায়াত ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক শাখা তা ঠিক ভাবে দেয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নতুন কর্মীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পদক্ষেপ এনজিওর ২০২২ সালের নিয়োগে চাকুরী হয় পরে আগষ্ট মাসের ২ তারিখ জামালপুর সদর ব্রাঞ্চে যোগদান করি সেখানে ১ মাস চাকুরী ও করে ছিলাম।তারা ট্রেনিংয়ের সময় যে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে

ছিল তার মধ্যে বেতন আর মোবাইল বিল ছাড়া কিছুই পায়নি।সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ দেওয়ার কথা শুক্রবার টা তো বন্ধ দেয়নি। ১ তারিখ চলে আসার সময় জামালপুর সদর উপজেলা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার প্রাপ্য টাকা পরে দিবে বলে জানান।কোন খোঁজ না পেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করি

তখন তিনি বলেন কোন টাকা পাবো না।জামানতের টাকা তো দিবেই না প্রাপ্য টাকাটা ও দিবে দিলো না ।রীতিমত প্রতারণা জালিয়াতির ছাড়া কিছুই না। পদক্ষেপ এনজিও কে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।

পুরানো কয়েকজন কমর্চারীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এতো বছর চাকরি করার পরে ও তাদের প্রতারণা করতে একটুও বিবেকেবাদে না। বেতন বৃদ্ধি পেলে কর্মকর্তাদের উপর

বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়। চাকুরী ছাড়িয়ে ও পদক্ষেপে মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র এর কুকীর্তি করে থাকে। শুরু করে ভয়ঙ্কর রূপ। উক্ত কর্মীর গ্রাচুইটি সংস্থার সিপিএফ

ইত্যাদি সংস্থা কতৃক প্রতিশ্রুতি করা সুযোগ সুবিধা গুলো না দেওয়ার ফন্দি খোঁজে। এভাবে কর্মীর শেষ অবলম্বন টুকু কৌশলে কেড়ে রেখে দেযওয়ার চেষ্টা করে।

বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলোতে সরকারের কড়া নজরদারীর আওতাধীন আনা প্রয়োজন বলে মনে করে সচেতন মহল।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ