বৈশাখের আজ ২ তারিখ। এতেই তেতে উঠছে প্রকৃতি। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। খরতাপে পুড়তে শুরু করেছে গ্রামীণ জনপথের মাঠঘাট। বৃষ্টির দেখা নেই। রুক্ষ-শুষ্ক আবহাওয়ায় নদনদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় শুকিয়ে প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। সেই সঙ্গে ফল-ফসল চাষাবাদে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। আবার বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও বাড়ছে শহর, গ্রাম-জনপথে।
এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর আভাস দিয়েছে, দেশের পাঁচ বিভাগে আজ আঘাত হানতে পারে কালবৈশাখী ঝড়। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিরও হতে পারে। এছাড়া কিছু এলাকায় বয়ে যাওয়া চলমান দাবদাহ কিছুটা কমতে পারে।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও মৌলভীবাজার অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।