মোঃ জাহাঙ্গীর আলম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসত ঘরে চুরি করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছে শ্রমিক লীগ নেতা সহ দুইজন। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ সরোয়ার (৪১) এবং মুছাপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের
সর্দার বাড়ির আবদুল খালেকের ছেলে মোঃ আলমগীর (৩৮)। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে আটক চোরদের পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। এরআগে, সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর
ওয়ার্ডের আনার আহমেদের বাড়িতে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। ভুক্তভোগী হাজী মোঃ ইব্রাহীম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক লীগ নেতা সরোয়ারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্রকে তার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চুরির কাজে আনা নেওয়া করত। এর বিনিময়ে সে চুরির অংশ থেকে অর্ধেক
ভাগ পেত। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শ্রমিক লীগ নেতা সরোয়ারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চোরের দল উপজেলার মুছারপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ মেম্বারের বাড়িতে চুরি করে টাকা পয়সা নিয়ে যায়। এরপর তারা পার্শ্ববর্তী আনার আহমেদের বাড়ির তার ছেলে ইব্রাহীমের ঘরে
হানা দেয়। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আচ করতে পেরে ধাওয়া দিয়ে চোর আলমগীরকে আটক করে। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে সরোয়ারকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। ওই সময় আরেক চিহিৃত চোর রাসেল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা শ্রমিক লীগ নেতা
সরোয়ার সহ দুই চোরকে ধোলাই দেয় এলাকাবাসী। এ সময় তাদের কাছ থেকে কিছু নগদ টাকা ও একটি সিএনজি আটক করে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন বলেন, যদি কোন মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে ভুলক্রটি করে তার দায়ভার
দল গ্রহণ করবে না। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো সত্যতা পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা এই তথ্য পেয়েছি। আমরা সত্যতা যাচাইয়ের জন্য
লোক পাঠিয়েছি। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান চোর ধরার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় বাদী মামলা দিতে চাচ্ছেনা।