শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধসংবাদ প্রকাশের পরও বন্ধ হয়নি মাটি ব্যবসা, প্রভাবশালী চক্র গিলে খাচ্ছে নদী

সংবাদ প্রকাশের পরও বন্ধ হয়নি মাটি ব্যবসা, প্রভাবশালী চক্র গিলে খাচ্ছে নদী

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা বাঁধের সামন থেকে ও আবাদী জমির পাড় ঘেঁসে সদ্য জেগে ওঠা চর থেকে অবৈধভাবে ট্রাক্টর দিয়ে কেটে নেয়া হচ্ছে মাটি ও বালু। এতে হুমকির মুখে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র উপজেলার সেচ ব্যবস্থার ৫কিউসেক সোলার সেচ নির্মাণ প্যানেল, শত কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রকল্প, বিভিন্ন স্থাপনা

সহ নদী তীরবর্তি জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃ স্থাপনের পরিকল্পনা। এনিয়ে আগেও একাধিক সংবাদ পত্রে খবর প্রকাশ করা হলেও আমলে নিচ্ছেন না প্রশাসন। কয়েকমাস থেকে ব্রহ্মপুত্রের বালু ও মাটি কেটে ব্যবসা করছেন প্রভাবশালী একটি চক্র। তবে সম্প্রতি বিষয়টি প্রশাসনের নজরে পড়েছে সবে মাত্র। এদিকে, লোক দেখানো অভিযানে করা হয়না জড়িমানা নেয়া

হয় না আইনী কোনো পদক্ষেপ। এতে করে ওই এলাকার মানুষের মাঝে দেখা গেছে চরম ক্ষোভ। তবে, এবার জেলা প্রশাসক দিয়েছেন ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রাজারভিটা এলাকার কিছু প্রভাব শালী ব্যক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করে নদী তীর থেকে অবৈধ ভাবে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই সব এলাকা নদীতে পরিনত

হয়ে যাবে। এতে হুমকীর মুখে পড়বে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সোলার সেচ ব্যবস্থা নির্মাণ প্রকল্পের সোলার প্যানেল পাম্প ও শত কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্প, রাজার ভিটা ফাজিল মাদ্রাসা সহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্থাপনা ও নদী তীরবর্তি জনপদ এবং আবাদী জমি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ

বিভিন্ন দপ্তরে কয়েক দফায় আবেদন করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে রাজার ভিটা গ্রামের মানুষ। সরেজমিন দেখা গেছে, থানাহাট ইউনিয়নের রাজার ভিটা এলাকায় পাউবো বাধের ভিতরে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের সামনে ৩টি জায়গায় নদীর তীর কেটে সারিবদ্ধ ট্রলিতে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় নদীর তীর সংলগ্ন

এলাকা সমুহ নদীর পানির সমান হয়ে যাচ্ছে। এতে সামান্য পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব জমি নদীর সাথে মিশে গোটা এলাকা নদীতে পরিনত হবে মর্মে এলাকা বাসীর অভিযোগ। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, একটি পয়েন্টে আশাদুর রহমান, শামিউল আলম সপ্নীল, মিঠুমিয়া ও বিদ্যু মিয়া তাদের ভট ভটি(ট্রলি) দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছে। স্থানীয় ইউনুছ

আলী সহ বেশ কয়েক জন বলেন,নদীর এই তীর টি আমাদের গ্রামের প্রটেকশন হিসাবে কাজ করছে এছাড়াও সরকারী ভাবে দেয়া সোলার সেচ ব্যবহার করে আমরা বিভিন রকম ফসল উৎপাদন করছিলাম। এভাবে তীর থেকে মাটি কেটে নিলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন সহ হুমকীর মুখে পড়বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র কুড়িগ্রাম জেলার

সদর,উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলে পোর্টেবল সেচ বিতরণ সেচ ব্যবস্থা নির্মানের মাধ্যমে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ কর্মসূচীর আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে . ৫কিউসেক সোলার সেচ নির্মাণ প্যানেল, শত কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রকল্প, বিভিন্ন স্থাপনা সহ নদী তীরবর্তি জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃ স্থাপনের পরিকল্পনা। এলাকা বাসী কয়েক

দফায় নদী,কৃষি জমি ও বিএডিসি চর উন্নয়ন সোলার প্যানেল পাম্প ভাঙ্গন প্রতিরোধ কল্পে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে রাজার ভিটা গ্রামের স্থানীয় মানুষজন। উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. মাহফুজার রহমান বলেন, এই এলাকায় সরকারী ভাবে কৃষকদের কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য

তিনটি সোলার সেচ প্রদান করা হয়েছিল। প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সোলার সেচ তিনটি রক্ষক আশাদুজ্জামান, ডালিম ও সপ্নীল। তারা নিজেরাই মাটির ব্যবসায় নিয়োজিত। এখান থেকে মাটি কাটার ফলে সোলার তিনটি সহ ডান তীর রক্ষা প্রকল্প হুমকীর মুখে রয়েছে। মাটি ব্যবসায়ী মো. বিদ্যুত মিয়া জানান, চর টি নদীতে ভেঙ্গে যেতে পাওে তাই আমাদের জমি থেকে একটি পয়েন্টের

মাধ্যমে মাটি বিক্রি করছি। শামিউল আলম সপ্নীল বলেন, আমার গাড়ী ভাড়া নিয়ে মানুষ মাটি বিক্রি করে। আমার কোন পয়েন্ট নেই, বিদ্যুত চাচার পয়েন্ট আছে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ