বশির আলম, টঙ্গীর স্বনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এ- কলেজ প্লে থেকে নবম শ্রেণীর ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন ক্লাস ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান গতকাল বিদ্যালয় মাঠে ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল (এমপি) মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা, বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনসুরুল ইসলাম মিলন,বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ
মোঃ মনিরুল ইসলাম তার স্বাগত ভাষণে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি আমার বক্তব্যের শুরুতেই অত্র কলেজে নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাই ফুলেল শুভেচ্ছা। আমি তোমাদের অন্তরের উষ্ণ আবেগে, ভালোবাসার আশ্বাসে একান্ত নিবিড় করে গ্রহণ করলাম। তোমাদের এ আগমন শুভ
হোক। এ শিক্ষায় তোমাদের উন্মুক্ত অঙ্গনে তোমরা জীবন বিকাশে সক্ষম হও এটাই আজ আমার একান্ত কামনা। তোমরা এখানে পরিপূর্ণ মানুষের স্বীকৃতিতেই আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশে সক্ষম হবে। প্রসঙ্গক্রমে তোমাদের একটি উপদেশ না দিয়ে পারি না। আমরা জানি, স্বাধীনতা অর্জনের
চেয়ে তাকে রক্ষা করা অধিকতর কষ্টকর। তোমাদের ক্ষেত্রে কথাটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি ও আমরা এই স্বাধীনতা ও উদারতার যে সুযোগ পাচ্ছি তা আমাদের অধিকতর দায়িত্বশীলতার কথাই মনে করিয়ে দেবে। তোমরা বৃহত্তর জীবনের এই আহবানে নিজেদের আগামীর জাতীর কান্ডার
রূপে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকবে, এটাই আমার প্রত্যাশা। আমরা জানি, আমাদের অত্র বিদ্যালয়ে রয়েছে দেশজুড়ে সুনাম ও দীর্ঘ ঐতিহ্য। নকল ও সন্ত্রাসমুক্ত বিদ্যালয় হিসেবে এর নাম আমরা সগৌরবে উচ্চারণ করি। তাছাড়া একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেও এর সুনাম রয়েছে। এই
ঐতিহ্য ও সুনাম একদিনে, এমনিতেই অর্জিত হয় নি। শিক্ষক মন্ডলীর আন্তরিক প্রয়াস ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি করেছে। একে ধরে রাখার এবং উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করার দায়িত্ব তোমাদের। লেখাপড়ায়, আচার-
আচরণে, আদব-কায়দায় তোমরা তোমাদের স্বাতন্ত্র্য প্রমাণ করবে। আমি তোমাদের শিক্ষক নয় একজন অবিভাবক বাবা হিসেবে এই দাবি করা অসঙ্গত নয় বলেই মনে করি। তোমাদের পথপরিক্রমায় দিকনির্দেশনা প্রদান করার ক্ষেত্রে আমারও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমি এ
দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব ইনশাআললাহ। এসো, তোমাদের সাথে মিলে স্নেহ, ভালোবাসা ও শাসনের সম্মিলনে এ পবিত্র শিক্ষাঙ্গণকে আরও গৌরবদীপ্ত করে তুলি। তোমরা আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলীকে মান্য করবা। তাঁদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।
পরিশেষে তোমাদের সুস্থ দেহমন ও কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষাজীবন কামনা করি। তোমাদের কলরবে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবপ্রাণের জোয়ারে ভেসে যাক। আবারও নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।