শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
spot_img
Homeসারাদেশচট্টগ্রাম৬৯’র ১৯ ফেব্রুয়ারি গনআন্দোলন: সেনবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি...

৬৯’র ১৯ ফেব্রুয়ারি গনআন্দোলন: সেনবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি ৫৪ বছরেও

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম: ১৯৬৯ এর ১৯ ফেব্রুয়ারি গনআন্দোলনে নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় কালো পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত চার শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির মেলেনি ৫৪ বছরেও । দীর্ঘদিন ধরে সেনবাগের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দিবসটিকে

সেনবাগের শহীদ বিবস হিসেবে ঘোষনার দাবীতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। পুলিশের নিহত চার শহীদগন হলেন; উপজেলার অর্জুনতলা গ্রামের শহীদ অফিজের রহমান, বাবুপুর গ্রামের শহীদ আবুল কালাম আজাদ, জিরুয়া গ্রামের শহীদ সামছুল হক ও

মোহাম্মদপুর গ্রামের শহীদ খুরশিদ আলম। এখন পর্যন্ত এ শহীদের স্বীকৃতি হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই বছর আগে এ চার শহীদের কবর সরকারি ভাবে পাকা করণের কাজ সম্পন্ন করেছে। সে সময় গনআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পঙ্গত্ববরণকারী মাষ্টার নাছির উদ্দিন

চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে রোববার দুপরে বলেন, প্রতিবছর সার্জেন জহরুল হক ও ড. সামসুজ্জোহা মৃত্যু দিবস পালন করা হলেও সেনবাগে চার শহীদের খোজ কেউ রাখেনা। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগে এসে নিহত চার শহীদের কবর জিয়ারত করেন এবং

ওই পরিবারের লোকজনের মাঝে ৫শত টাকা ও একটি করে সনদপত্র দেন এটাই শুধু তাদের স্বীকৃতি। তিনি বলেন, যে গন আন্দোলনের সূত্র ধরে দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়। সে যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ ৫৪টি বছর পার হওয়ার পরও ’৬৯ এর ১৯ ফেব্রুয়ারি গনআন্দোলনে নোয়াখালীর

সেনবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত চার শহীদের স্মরনে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন রকম স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাই তিনি দিনটিকে আগামী প্রজন্মের কাছে স্মরনীয় করে রাখতে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি এবং সেনবাগ শহীদ দিবস ঘোষনার দাবি জানান। দীর্ঘদিন থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারীকে সেনবাগে ৪শহীদ দিবস ঘোষনা

করার দাবীতে এখানকার সর্বস্তরের লোকজন সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করে। এরপর তৎকালীর সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা শহীদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রালয়ের ববাবরে চিঠি লিখলে। বিগত ২০১২সালের

২২জানুয়ারি তারিখে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের পরিকল্পনা শাখা’র সিনিয়র সহকারি প্রধান মুহাম্মদ নুরুল আমিন খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে চার শহীদ স্মরনে সেনবাগ থানা চত্বরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর

(এলজিইডি) এর প্রধান প্রকৌশলী বরাবর চিঠি প্রেরণ করেন। কিন্তু ১২ বছর গত হতে চললেও এখন পর্যন্ত এর নির্মাণকাজ কাজ শুরু হয়নি। এনিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে আজ রবিবার সেই সময় নিহত চার শহীদ এবং আহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে

স্বীকৃতির দাবীতে সকাল থেকে সেনবাগ পৌর শহরে বীর বিক্রম শহীদ তরীক উল্লাহ ফাউন্ডেশন ও সেনবাগ লেখক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ