করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের চতুর্থ দিন শনিবার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও অলি-গলিতে ছিলো প্রচুর জনসমাগম। ভিড় দেখা গেছে বাজার ও গলির দোকানপাটে।
সূর্যের তাপ ও রোজার কারণে দিনের প্রথম ভাগে মানুষ ঘর থেকে কম বের হলেও বিকেলের দিকে ভিড় বাড়তে থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মানতেও দেখা যায়নি লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বের হওয়া অধিকাংশ মানুষকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অলি-গলিতে জমজমাট ব্যবসা করছেন দোকানীরা। পাড়া-মহল্লায় ইফতার বাজারও বেশ জমজমাট দেখা গেছে। আর এসব স্থানে মানুষ মাস্ক পরলেও সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিলো না।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রচুর মানুষের ভিড়। বাজারে মুরগীর দোকানে কথা হয় সরকারি চাকরিজীবী মাকসুদুর রহমান মিলনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসায় প্রয়োজনীয় খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় বাজারে এসেছেন। মাছ, মুরগী ও সবজিসহ বেশি কিছু পণ্য কিনতে হবে।
বেসরকারি চাকরিজীবী সুজন আহমেদ জানান, তার অফিস থেকে বেতন প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে। যে টাকা পান তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দিয়ে খাবার জন্য তেমন কিছু থাকে না। টাকার অভাব কিন্তু করোনার দোহাই দিয়ে গত কয়েক দিন বাজারে আসেননি। কিন্তু শনিবার তার শিশু বাচ্চার খাবার শেষ হওয়ায় বাধ্য হয়ে নিচে নেমেছেন। অথচ বাজারে একটি পণ্য কেনার সাধ্য তার নেই। কারণ প্রতিটি পণ্যের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার ও গলির দোকানপাট জমজমাট থাকলেও প্রধান সড়কগুলো ছিলো প্রায় ফাঁকা। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাইভেটকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল করছে। প্রধান সড়কগুলোতে ছিলো পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি। এসব চেকপোস্টে গাড়ি ও রিকশা থামিয়ে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।