মোহাম্মদ দুদু মল্লিক,শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে বিসিআইসি কর্তৃক ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন বাফার গোডাউন নির্মাণ কাজ শেষে বিগত ২০২১ সালের ৮ জুলাই থেকে এর
কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ গোডাউনের অধীনে জেলার বিসিআইসি ৫৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে কৃষকরা ক্রয় করতে পারছে সার। এছাড়াও কৃষকরা সময়মতো সার পাওয়ায় তারা
আনন্দিত। শেরপুর জেলার বিসিআইসি সার ডিলাররা জানান, ইতিপূর্বে ঘোড়াশালসহ অন্যান্য স্থান থেকে আমাদেরকে এ সার ক্রয় করতে হতো। এতে আমাদের সময় ব্যয়সহ অর্থের অপচয় হতো
দ্বিগুণ। বর্তমানে এ জেলার ঝিনাইগাতী বাফার গোডাউন থেকে সার ক্রয়ে আমাদের কোন সমস্যা হচ্ছেনা। এছাড়াও বাফার গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম তিনি একজন সৎ
অফিসার হওয়ায় আমরা দ্রুত লোড ও আনলোডের সুবিধা পাচ্ছি। শেরপুর জেলার বিএফএর সভাপতি রাশেদুল ইসলামের প্রতিনিধি বাদশা মিয়া জানান, জানুয়ারী মাসে বোরো ফসলের কারণে
সারের চাহিদা বেশি থাকে। প্রতিটি ডিলারের নামে বরাদ্দ থাকে ওই মাসে ১৮৪ টন। এ জেলার ৫৯ জন বিসিআইসি সার ডিলার ১০ হাজার ৮ শত ৫৬ মেট্রিকটন বরাদ্দ পান।
অন্যান্য মাসে কম বেশি হয়। এতে সার ডিলারদের কোন সমস্যা হয় না। ঝিনাইগাতী উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার এর সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও তারা এ গোডাউনের জন্য
একজন ভালো ও যোগ্য কর্মকর্তা পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যেই হাসানুজ্জামান নামে জনৈক ব্যক্তি নিজেকে লোড আনলোডের ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে ওই কর্মকর্তার সাথে কাজ করতে
চাইলে কর্মকর্তা অস্বীকৃতি জানায়। কারণ হাসানুজ্জামান প্রকৃত ঠিকাদার নয়। প্রকৃত ঠিকাদার জামালপুরের মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তি। উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে ঝিনাইগাতী বাফার
গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নজরুল ইসলাম যোগদান করেছেন। সফলতার ১ বছর পূর্তি বলে জানান স্থানীয় ডিলারগণ।