মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর সেনবাগে ওমান প্রবাসীর স্ত্রী (২৫)কে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ইমন (২০)নামের আরো এক ধর্ষককে শনিবার রাতে ঢাকার নিউমার্কেট এলাকা থেকে
গ্রেফতার করেছে র্যাপিটএ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১১)। এনিয়ে ওই ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতারকৃত ইমন সেনবাগ উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউপির পশ্চিম
কাজিরখিল গ্রামের রাধার বাড়ির মৃত সামছুল হকের ছেলে। এরআগে সেনবাগ থানা পুলিশ হুমায়ুন কবির (৩০) ও সহেল (২৮) নামের আরো দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছিলো।
ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ৫জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে সেনবাগ উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের কাজিরখিল গ্রামে।ওই ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে সেনবাগ থানায় মামলা নং ৩ তারিখ
৮/১/২৩ইং। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেঃ উপজেলা বীজবাগ ইউপির কাজিরখিল গ্রামের গ্রামের রাধার বাড়ির মৃত সামছুল হকের ছেলে ইমন, রমজান আলী ভেন্ডার বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে
হুমায়ুন কবির ও আবদুল করিমের ছেলে সহেল। এঘটনায় জড়িত একই এলাকার ফকির আহম্মেদের ছেলে ইয়াসমিন প্রকাশ তকু পলাতক রয়েছে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,
গত ৫ জানুয়ারি ওমান প্রবাসীর স্ত্রী প্রাকৃতিক ডাকে ঘর থেকে বের হলে নিজ বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নিয়ে চারজন দূবৃর্ত্ত দল বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেনবাগ থানায়
চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর সে গা ডাকা দিতে ঢাকায় পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা নিউমার্কেট থানাধীন
চাঁদনী মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার সেনবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকালে আসামিকে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরষ করা হয়েছে।