মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪
spot_img
Homeজাতীয়জাতীয় চার নেতার ইতিহাস জানতে হবে। মেহের আফরোজ চুমকি- এমপি

জাতীয় চার নেতার ইতিহাস জানতে হবে। মেহের আফরোজ চুমকি- এমপি

বশির আলম,: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভা গতকাল শনিবার ঢাকা উত্তর দক্ষিনখান চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মোজাম্মেল হক শিক্ষা কমপ্লেক্স

মিলানায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম তোফাজ্জেল হোসেন এর সভাপতিত্তে¡ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক মহিলা ও শিশু

বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। এ সময় তিনি বলেন বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতার ইতিহাস আমাদের জানতে হবে তারা কে ছিলেন কী ছিল তাদের আদর্শ তারা দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের আদর্শ অনুপ্রেরনার এক উজ্জল দৃস্টান্ত। প্রধান অতিথির বক্তব্য সূত্রে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম(১৯২৫-১৯৭৫) – ১৯২৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার যশোদল দামপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে এমএ এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। – ১৯৫৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

– ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। – ১৯৬৬-৬৯ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

– ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। –

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। -স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ

সরকারের মন্ত্রিপরিষদে শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। – ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় সৈয়দ নজরুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তাজউদ্দীন আহমদ(১৯২৫-১৯৭৫) – ১৯২৫ সালে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। – ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগের (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

– ১৯৫২ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে তিনি ভাষা আন্দোলনকালে গ্রেফতার হন এবং কারা নির্যাতন ভোগ করেন। – ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬৪ সালে কারাবন্দি অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন। – ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন।

– ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। – ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন।

– স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। – ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তাজউদ্দিন আহমদ কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

মোহাম্মদ মনসুর আলী(১৯১৯-১৯৭৫) – ১৯১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের ‘কুড়িপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। – ১৯৪৫ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ এবং ল’ পাস করেন। – ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

– স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। – ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ মনসুর আলীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান(১৯২৬-১৯৭৫) – ১৯২৬ সালের ২৬ জুন নাটোর মহকুমার বাগাতীপাড়া থানার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। – ১৯৪৬ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স পাশ করেন এবং রাজশাহী আইন কলেজ হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

– ১৯৫৭ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। – ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

– স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

– ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। – ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগরের আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ এড. মোঃ আজমত উল্লাহ খান।

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ, বাবুল হোসেন মন্ডল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মীর আব্দুর রাশেদ

সুজন, শেখ মোহাম্মদ রাব্বি হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সায়েম সরকার, কামরুল ইসলাম সাগর, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক মুক্তা ইসলাম ইভা, সাংস্কৃতিক

বিষয়ক সম্পাদক রুপা দাশ প্রমুখ। আলোচনার সভার শেষে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ