উন্নয়নের মহাসড়কে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের হাত ধরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাযজ্ঞে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে গাজীপুর সিটিতে শত শত কোটি টাকার রাস্তার ড্রেনেজ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প চলছে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে আনাচে কানাচে।
কিন্তু অত্যন্ত হতভাগ্য টঙ্গীর ৫৩নং ওয়ার্ড বেক্সিমকো থেকে শুরু করে সাবেক কাউন্সিলর সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে তুরাগ নদীর পাড় পর্যন্ত এই সড়কটি অত্যান্ত ঘনবসতিপূর্ণ শিল্প কলকারখানা বেষ্টিত সড়কটিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কলকারখানার মালামাল সরবরাহ করতে কয়েকশত পরিবহণ চলাচল করে।
এই সড়কটি ঘিরে রয়েছে বেক্সিমকো ঔষধ কারখানা, ন্যাশনাল পলিমার, নিউ জিপার, নির্মাণাধীন ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল, নির্মাণাধীন রাসায়নিক গোডাউনসহ প্রায় ৫শতাধিকের অধিক বাড়িঘর। এই সড়কটিতে প্রতিদিন বিভিন্ন কারখানায় চাকুরীরত প্রায় ২০ হাজারের অধিক শ্রমিকের যাতায়াত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত কোন ধরনের মেরামত না হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। প্রায় সময় এইসব গর্তে পড়ে চলাচলরত যানবাহন প্রায় দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকে। ফলে চলাচলরত পথচারীদের পড়তে হয় নানান ভোগান্তিতে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর সেলিম মিয়া জানান, আমি যখন পৌরসভার কমিশনার ছিলাম তখন পৌর সিমিত আকারে বাজেটের মধ্য দিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ডটিতে রাস্তা ড্রেনেজ ব্যবস্থা যতটুকু সম্ভব ছিল উন্নয়ন করেছি। ২০১৩ সালে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে অদ্যবধি কোন ধরনের উন্নয়নের গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
এতে করে এলাকার মানুষের চলাচলে বড় ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ বলেন, আমাদের পণ্য পরিবহণে সড়কটি নাজুক অবস্থা হওয়াতে প্রায় সময় বিভিন্ন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গাসিক মেয়রের দৃষ্টি কামনা করছি শিল্প কলকারখানা অধ্যুষিত এই সড়কটিতে দ্রুত উন্নয়ন করলে আমরা পণ্য পরিবহণে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারবো। এ বিষয়ে গাসিক মেয়র এড. জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।