সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জে সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে শতশত একর ফসলী জমি, রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, গাছপালা, মসজিদ, মন্দির ও সরকারি-বেসরকারি অনেক স্থাপনা।
সবকিছু হারিয়ে অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব। তারপরও নদী ভাঙ্গন রোধে আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। এমন অভিযোগ করেছেন সুরমা নদীতে ক্ষতিগ্রস্থ শতশত অসহায় মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- গত শুক্রবার দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে অবস্থিত শতবছরের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদটি সুরমা নদীতে ভেঙ্গে পড়ে গেছে।
এছাড়া উপজেলার জামলাবাজ, তেলিয়াপাড়া, নুরপুর, রামনগর, কামলাবাজ, নয়াহাট, রামপুরসহ আরো একাধিক গ্রাম সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। কিন্তু ভয়াবহ এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য কোন প্রকার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এনামুল হক বলেন- শতবছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলিন হওয়ার কারণে এলাকার মুসল্লীরা বিরাট সমস্যায় পড়েছেন।
ছোট একটি মক্তবে সবাইকে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। জামালগঞ্জ উপজেলার প্রবীন সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ বলেন- আমরা হাওর এলাকার মানুষ নদী ভাঙ্গন থেকে শুরু করে সব দিকে অবহেলার শিকার হয়ে আছি।
আমাদের নানাবিদ সমস্যা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে বারবার তুলে ধরছি। কিন্তু আমাদের দুঃখ আমাদের কষ্ট দেখার মতো কেউ নেই। জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ বলেন- নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নিয়ে মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে।
সুরমা নদীর ভাঙ্গনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান- সুরমা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে।