কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী(ইজিপিপি)’র শ্রমিক দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (কাবিটা) প্রকল্পের রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ২০২০-২১অর্থ বছরে সাধারন ২য় পর্যায়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাজের বিনিময়ে টাকা(কাবিটা)প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর বড়ভিটা গ্রামের নদীর ঘাট হতে আশরাফুলের দোকান হয়ে পূর্বদিকে বদরুলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য ২লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সেখানে প্রকল্পের টাকা ব্যয় না করে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী(ইজিপিপি)’র শ্রমিকদের মাধ্যমে নামেমাত্র মাটি কেটে নিয়ে প্রকল্পের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সমুদয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর বড়ভিটা গ্রামের নদীর ঘাট হতে আশরাফুলের দোকানের সামন পর্যন্ত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচীতে কর্মরত বিভিন্ন ওয়ার্ডের ২শতাধিক শ্রমিক মাটি ভরাটের কাজ করছে।
এসময় শ্রমিক দলনেতা আশরাফুল ইসলাম,রবিউল ইসলাম সাথে কথা বলে হলে তারা জানায় রাস্তাটি কাবিটা কিংবা অন্য কোন প্রকল্পের আওতায় আছে কিনা আমরা জানিনা বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারগন আমাদেরকে কাজে লাগিয়েছেন।
এবিষয়ে রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু জানান,চরের বিভিন্ন রাস্তা সংস্কারের জন্য ইজিপিপির শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হলেও ইউপি সদস্যরা কোথায় মাটির কাজ করিয়েছে তা আমার জানা নেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.কোহিনুর রহমান বলেন,প্রকল্পের কাজ প্রকল্পের টাকায় হবে,ইজিপিপি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান বলেন, কাবিটা প্রকল্পের কাজ অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি)’র শ্রমিক দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।