কবি জীবনানন্দের ভাষায়, ‘যৌবন বিকশিত হয় শরতের আকাশে’। শরতে শেফালি, মালতী, কামিনী, জুঁই, টগর আর সাদা সাদা কাশ ফুল মাথা উঁচিয়ে জানান দেয় সৌন্দর্য। মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে দেয় চার পাশে। গ্রামীণ প্রকৃতিতে শরৎ আসে সাড়ম্বরে। যদিও ইট-কাঠের নগরীতে শরৎ থেকে যায় অনেকটা অন্তরালে।
বাংলা ঋতুর হিসাব অনুযায়ী ভাদ্র-আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল। ঋতুচক্রের বর্ষ পরিক্রমায় শরতের আগমন ঘটে বর্ষার পরেই। বর্ষার বিষন্নতা পরিহার করে শরৎ আসে।আর এই মাসটা কিছু কিছু বৃষ্টির ফোঁটা মনে করিয়ে দেয় শরবতের কথা, কিছুক্ষণ পরপর মেঘলা আকাশ আবার কিছু রৌদ্র ছায়ায় ঘেরা প্রকৃতিকে এক অন্যরকম মনোমুগ্ধ করে তার রঙে রাঙিয়ে দেয়।
শরৎকে কেন শরবতের প্রথম দিন বলা হয়: মানুষ যেমন ১ গ্লাসের বেশি শরবত খায়না তেমন শরতের বৃষ্টি ১ সাথে ঝরে পড়ে না। গরমে যেমন ১ গ্লাস ঠান্ডা শরবত সারা দিনের ক্লান্তি মুছে দেয় তেমন ই বর্ষার পরে শরতের বৃষ্টি প্রথম দিনের ঝরে পড়া মনের বিকশিত করে হৃদয়ের মাঝে দোলা দিয়ে যায় এক নতুন আঙ্গিকে। এক কথায় বলা যায় শরবতে যেমন মনের তৃপ্তি মেটায় তেমন শরতের বৃষ্টির ছোয়া নির্মল আনন্দ আর অনাবিল উচ্ছ্বাস দিয়ে যায়।
প্রকৃতি এ সময় নববধূর সাজে সজ্জিত হয়ে উঠে। শরতের মেঘহীন নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা কেড়ে নেয় প্রকৃতি প্রেমিকদের মন।
বিলে শাপলা, গাছে গাছে শিউলির মন মাতানো সুবাস অনুভূত হয় শরতের ছোঁয়া। শরতের রূপ যেনো শান্ত-স্নিগ্ধ-কোমল। যেখানে মলিনতা নেই, আছে নির্মল আনন্দ আর অনাবিল উচ্ছ্বাস।
কবি জীবনানন্দের ভাষায়, ‘যৌবন বিকশিত হয় শরতের আকাশে’।শরতে শেফালি, মালতী, কামিনী, জুঁই, টগর আর সাদা সাদা কাশ ফুল মাথা উঁচিয়ে জানান দেয় সৌন্দর্য। মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে দেয় চার পাশে। গ্রামীণ প্রকৃতিতে শরৎ আসে সাড়ম্বরে। যদিও ইট-কাঠের নগরীতে শরৎ থেকে যায় অনেকটা অন্তরালে। আবার, এই শরতেই হয়ে থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
গ্রামবাংলার দিঘিতে ফোটে পদ্ম ফুল, দিঘির পাশেই শেফালি গাছ। প্রভাতে গাছ থেকে ঝরে পড়ে শত শত শেফালি। এর সুগন্ধ মনে লাগায় ভালোবাসার রং। কেউ বা গাঁথে শেফালি ফুলের মালা। আবার কাশফুল যেন শরতেরই স্মারক।