ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সামনে মাসুদ ডেন্টালের প্রোপাইটর ডেন্টিস্ট মোঃ মাসুদের বিরুদ্ধেনারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।তার চেম্বারে আসা নারী ও শিশু রোগীদের বিভিন্ন প্রলেভন দেখিয়ে ম্যানেজ করে অনৈতিক কাজ করছেন।
তার এসব অপকর্ম ধামাচাপা দিতে একটি চক্র কাজ করছে বলে সুত্র দাবী করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সুত্র জানা গেছে, বুধবার দুপুর বার টায় স্কুল পড়ুয়া তিন ছাত্রী রক্ত পরিক্ষা করার জন্য মাসুদের চেম্বারের পাশের ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে যায়।
এসময় তাদের মধ্যে এক ছাত্রী মাসুদের চেম্বারে এসে তার সাথে কথা বলে কয়েক মিনিট পর বেরিয়ে যায়। ৩০ মিনিট পর ওই ছাত্রী দুই বান্ধবীকে রাস্তার পাশে দাড় করিয়ে আবারো একা মাসুদের চেম্বারে প্রবেশ করলে চেম্বার ফার্মেসিতে থাকা যুবক দোকান থেকে বের হয়ে গেলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, “ওই ছাত্রীকে চেম্বারের পেছনে পর্দ্দার আড়ালে নিয়ে মাসুদ ১০/১৫ মিনিট অবস্থান করে। এসময় লোকজন জড়ো হতে থাকলে টের পেয়ে মাসুদ দ্রুত ওই ছাত্রীকে চেম্বার থেকে বের করে দেয়।”
পরে মেয়েটির অভিভাবকদের ধরপাকড় করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করে মাসুদ। ঘটনা জানতে পেরে ছাত্রীর এক স্বজন মাসুদের চেম্বারে যায় ও তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অল্প বয়সী নারী রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজের চেস্টা করেন খোদ চেম্বারে বসে। তার এসব কাজে সহযোগীতা করার জন্য সে হাসপাতাল এলাকায় গড়ে তুলেছে একটি সাপোর্টার্স বাহিনী।
অবিবাহিত সুদর্শন ডেন্টিস্ট মাসুদ নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল নারী রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছে। তার অপকর্ম ধামাচাপা দিতে একটি চক্র কাজ করছে।
অভিযুক্ত মাসুদের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন। জানান, চেম্বারে একটি মেয়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেছি। সে আমার পুরানো প্যাসেন্ট। ইতিপূর্বে সে তার বাবার সাথে এখানে এসেছিলো।
আজ রক্ত পরিক্ষার একটি রিপোর্ট দেখাতে এসেছিল বলে দাবী তার। তবে মেয়েটিকে তার আত্মীয় বলে দাবী করলেও দীর্ঘ সময় চেম্বারে দুইজন একাকী অবস্থানের বিষয়ে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি মাসুদ।
তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।