মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ,এলপিজির দামে পকেট, কাটছে গ্রাহকের।

ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ,এলপিজির দামে পকেট, কাটছে গ্রাহকের।

বশির আলম  বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারিত করে দিলেও উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো তা মানছে না। কোম্পানিগুলো নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পরিবেশকদের কাছে বিক্রি করছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের বাড়তি দামে
গ্যাস কিনতে হচ্ছে।গতকাল বুধবার এক মতবিনিময়সভায় অনেক আলোচক এ অভিযোগ জানান। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এ সভা আয়োজন করা হয়। এতে উৎপাদনকারী কোম্পানি, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচকরা জানান, বিইআরসি ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাসের দাম ১ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে তা ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারখানায় ১২ কেজির এলপি গ্যাসের মূল্য ১ হাজার ৪২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো নিচ্ছে
১ হাজার ৫২০ টাকা। পরিবেশকরা আরও ৭০ থেকে ১০০ টাকা লাভে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। খুচরা বিক্রেতারা দাম আরও বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা জানান, সম্প্রতি ডিজেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম
বাড়লেও তা এলপি গ্যাসের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়নি। এ ছাড়া এলসি জটিলতায় গ্যাস আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। সব কিছু মিলে তারা বিইআরসির নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না। তবে কোনো কোনো কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, পরিবেশকদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করলেও
পরে তাদের কমিশন হিসেবে টাকা ফেরত দিচ্ছেন। পরিবেশকরা জানান, তারা কোম্পানি থেকে বাড়তি দামে কিনছেন। এ জন্য বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বিইআরসি ২০২১ সালের অক্টোবরের পর থেকে গণশুনানি করছে না। তবে
বিইআরসির প্রতিনিধি জানান, কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে লিখিত কোনো কাগজ পাওয়া যায়নি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, কেন নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজকের (বুধবার)
মতবিনিময় সভা গত ২০ সেপ্টেম্বরের মতবিনিময় সভার ফলোআপ। গত সভার যে পর্যবেক্ষণ ছিল, এখনো একই অবস্থা আছে। তার কোনো প্রভাব গ্যাসের মূল্যের ওপর পড়েনি। সরকার নির্ধারিত দামেই সবাইকে গ্যাস বিক্রি করতে হবে। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেই। সভায়
অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, এফবিসিসিআই ও ক্যাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ