করোনা অতিমারি মোকাবিলায় অনন্য নজির স্থাপন করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বহুতল মার্কেটকে মাত্র ২০ দিনের প্রচেষ্টায় একটি অত্যাধুনিক কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতলে রূপান্তর করে মাইলফলক স্থাপন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও গাইডেন্স অনুযায়ী কোভিড স্পেশালিস্ট এই হাসপাতাল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এই হাসপাতালের মাধ্যমে কোভিড চিকিৎসায় অনেক উন্নয়ন হবে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মহাখালী ডিএনসিসি’র মার্কেটটি নতুনরূপে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী।
দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এই হাসপাতালটির মোট শয্যা সংখ্যা ১ হাজার। যার মধ্যে আইসিইউ ও আইসিইউ সমমানের ৫০০টি শয্যা থাকছে। তাছাড়া সাধারণ শয্যা গুলোতে থাকছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ব্যবহারের সুযোগ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা শহরে বর্তমানে যতটি আইসিইউ বেড রয়েছে তার সম সংখ্যক আইসিইউ বেড ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে রয়েছে। এখানে ৫ টি ডায়ালাইসিস বেড, ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি, এক্সরে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন, এনজিওগ্রাম, কার্ডিওগ্রাম, আরটিপিসিআর মেশিন। তাছাড়া রয়েছে ১০টি ভিওআইপি কেবিন ও ৮ টি এসি কেবিন।
সশস্ত্র বাহিনীর তত্তাবধানে পরিচালিত হবে এই হাসপাতাল। ১০০০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতালে ১০০ শয্যার আইসিইউ এবং ১১২টি এইচডিইউ শয্য থাকবে। যা এযাবৎকালে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আইসিইউ সার্পোট হাসপাতাল।
রোববার ১৮ এপ্রিল থেকে ৫০টি আইসিইউ বেড ও ৫০ টি ইমার্জেন্সি বেড এবং বাকি ১৫০টি সাধারণ বেড নিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। তবে চলতি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে পুরো ১ হাজার শয্য চালু করার টার্গেট নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান পরিচালক।
উল্লেখ্য, এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাছির উদ্দিন প্রমুখ।