বশির আলম, টঙ্গী গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পের আংশিক অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল টঙ্গীর মিল গেইট এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-
অক্টোবর মাসে বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে। গাজীপুরে এ ধরনের প্রকল্পটি নেওয়ার আগে গভীরভাবে চিন্তা করে নিলে ভালো হতো। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে কি হবে না, সেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল। তার পরও প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা। এটি একটি চ্যালেঞ্জ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি বিআরটি প্রকল্পে অনেকবার এসেছি। গত ঈদুল ফিতরের আগে এই প্রকল্পের একটি অংশ খুলে দেওয়া হয়েছিল। এখন টঙ্গী ব্রিজ থেকে স্টেশন রোড হয়ে কলেজগেট পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার অংশ প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে।
আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই জটিল অংশটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিতে পারি। এখন থেকেই ধরে নিন এটি খুলে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সেতুর নিচের অংশটুকুতে যান চলাচল করছে।
প্রকল্পটি নিয়ে অনেক ভোগান্তি হয়েছে, আশা করি ভোগান্তি আর থাকবে না। ভোগান্তি হলে মানুষ সহ্য করতে পারত না। এখন বর্ষার মৌসুম, তা ছাড়া কোরবানির পশুর গাড়ি ও যানবাহনের ধীরগতিতে চলাচলে কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে। ভোগান্তি কমাতে গতকাল (শুক্রবার) একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
কাদের বলেন, ‘আমাদের ভেতরে অনেকেই আশা করেনি পদ্মা সেতু হবে। সরকার অনেকগুলো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে এক-দুটিতে সমস্যা হতেই পারে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেডের অংশ ও মেট্রোরেলের কাজ মতিঝিল এলাকা পর্যন্ত শেষ করতে পারব।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী পূর্বে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভবিষ্যতে আরও ১০০ সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঈদুল আজহার আগে সড়কে যানজট কমাতে পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর জসীমউদ্দীন থেকে বিমানবন্দর এলাকা অংশের কাজ শেষে ঈদের আগেই খুলে দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন, বিআরটির প্রকল্প পরিচালক মো. ইসাক, মহিরুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম প্রমুখ।