মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জের আকাশ থেকে কালো মেঘ কেটে গিয়ে গত ৩দিন যাবত দেখা দিয়েছে সোনালী রৌদ্র। ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানি কম আসার ফলে কমতে শুরু করেছে নদ-নদী পানি। একারণে পুরো জেলা বাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। এবং হাওরবাসীর মাঝে কেটেছে বন্যার আংতক। তবে জেলার হাওরগুলো
পানিতে ভরপুর।পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে- গত ৪৮ ঘন্টায় জেলায় মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদরের সুরমা নদীর পানি ২১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচে ৭.৩১ মিটার প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ছাতক উপজেলায় ১৪ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপরে ৮.৯১
মিটার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস না থাকায় বন্যার শঙ্কা নেই বলে জানা গেছে। এদিকে জেলার সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের আনোয়ারপুর ব্রিজ সংলগ্ন সড়ক ও এসড়কের বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা ১০০ মিটার থেকে পানি সড়ে গেছে। ফলে কোন প্রকার ঝুকি ছাড়া যানবাহন স্বাভাবিক নিয়মে
চলাচল করছে। কিন্তু এখনো পানি কমেনি তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কে। এসড়কের পোছনা থেকে পাতারগাঁও পর্যন্ত বিভিন্ন ভাংগা স্থান পানিতে ডুবে রয়েছে। একারণে নৌকা দিয়ে মোটর সাইকেল ও মানুষ পারাপার হতে হচ্ছে। এছাড়াও জেলার দিরাই, শাল্লা, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জগন্নাথপুর, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জসহ অন্যান্য উপজেলার
নিন্মা লের গ্রামীন রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে রয়েছে। তবে এই পানি বর্ষাকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমবে না। কারণ জেলার হাওর এলাকার গ্রামীন সড়কগুলো বর্ষার ৪ থেকে ৫ মাস পানির নিচেই থাকে। এজন্য বর্তমানে হাওর এলাকার জনসাধারণের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হয়েছে ইঞ্জিন চালিতো ছোট-বড় নৌকা। এছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা না থাকার
ফলে ঝুকি নিয়ে নৌকা দিয়েই একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতাযাত করতে হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন- গতকাল ও আজকে বৃষ্টি কম হওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী
কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস না থাকায় বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে নদী পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।