সৈয়দ সময়, নেত্রকোনার মদনে সরকারি চাল পাচারকালে চট্টগ্রামগামী বৈশাখী পরিবহণ নামের একটি বাস আটক করেছেন জনতা। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খানবাড়ির মোড়ে বাসটি আটক করা হয়। বাসের
ভেতরে ৩০ কেজি ওজনের সরকারি সিলমোহরযুক্ত ২০টি বস্তা পাওয়া গেছে। এ সময় চাল জব্দ করে উপজেলা খাদ্য অফিস। স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখী পরিবহণ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রতিদিন
বিকালে ফতেপুর ইউনিয়নের হাসনপুর বাজার থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। রোববার গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সময় পথে হাসনপুর বাজারে মসজিদের পাশে থেকে সরকারি সিলমোহরযুক্ত চালের বস্তা বাসে তোলা হয়। বিষয়টি স্থানীয়
লোকজন সন্দেহ করলে পথে খানবাড়ি মোড়ে আটক করেন। এ সময় বাসের ভেতর ৩০ কেজি ওজনের ২০ বস্তা চাল পাওয়া যায়। বর্তমানে চালসহ বাসটি জনতার হাতে আটক রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন , বৈশাখী পরিবহণের বাসে
যাত্রীদের সঙ্গে ২০ বস্তা সরকারি চাল পাওয়ায় বাসটি আটক করা হয়েছে। সরকারি চাল পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। জানতে চাইলে বৈশাখী পরিবহণের
হাসনপুর বাজারের কাউন্টার মাস্টার কাঞ্চন মিয়া বলেন, বিরাশি গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে সৈকত চালের বস্তাগুলো গাড়িতে তুলে ভাড়া দিয়েছেন। চালের বস্তাগুলো যাবে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ওয়াসিম মিয়ার কাছে। এর বেশি কিছু আমি
জানি না। এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, শুনেছি যাত্রীবাহী বাসে সরকারি চাল আটক করেছেন জনতা। আমি চাই বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। মদন উপজেলা খাদ্য
নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শেখ হোসেন সানোয়ার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। ফতেপুর ইউনিয়নের মাস্টার রোল সঠিক পেয়েছি। ২০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। ইউএনও স্যারের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া জানান, যাত্রীবাহী বাসে সরকারি চাল থাকায় জনতা আটক করেছেন বলে আমি শুনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মদন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।