মোজাম্মল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে সুরমা, যাদুকাটা, চলতি, রক্তি, বৌলাই, পাটলাই, কালনী ও কুশিয়ারাসহ আরো বিভিন্ন নদ-নদীর পানির।
আজ বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে- সুনামগঞ্জ-বিশ^ম্ভরপুর সড়কের দূর্গাপুর পাকা সড়ক আবার পানিতে ডুবে গেছে। সেই এসড়কের শক্তিয়ারখলা ১শ মিটার সড়কের ওপর পানির পরিমান বেড়ে যাওয়ার
কারণে ইি ন চালিয়ে নৌকা দিয়ে মানুষ ও মোটর সাইকেল পারাপার করছে। তাই বন্ধ রয়েছে ভারী যানবাহন চলাচল।
এছাড়া তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের সূর্যেরগাঁও, জামালগড় পয়েন্ট, পেছানারঘাট ও পাতারগাঁও এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। একারণে চরম দূর্ভোগে পড়েছে পর্যটক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি নদী-নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হাওরে প্রবেশ করছে। একারণে জেলার মধ্যনগর, তাহিরপুর, বিশ^ম্ভরপুর, দিরাই, শাল্লা, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, ছাতক, জগন্নাথপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার
হাওরগুলোতে পানি বেড়েই চলেছে। তাই বর্ষার শুরু পর থেকে হাওর এলাকার প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে গেছে গ্রামীন কাঁচা পাকা সড়ক। এজন্য ছোট-বড় ইঞ্জিনের নৌকা দিয়ে একস্থান থেকে
অন্যস্থানে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিদিনই নানান ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে হাওর পাড়ে অসহায় মানুষকে।
এব্যাপারে তাহিরপুরের যাত্রীবাহী মোটর সাইকেল চালক বিজয় দাস, তুহিন মিয়া, বিশ^ম্ভরপুরের সিএনজি চালক জহির
মিয়া, রহমত আলী, আজিজুল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন- পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমরা তাহিরপুর হতে বিশ^ম্ভরপুর হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে সড়ক পথে যাত্রী নিয়ে যেতে পারছিনা। নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। এজন্য
খরছ বেড়ে যাওয়ায় রোজগার কম হচ্ছে, বেড়েছে দূর্ভোগ। সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান- গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জের সুরমা
নদীর পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার প্রধান নদ-নদীগুলো আবার ফুলে উঠেছে। তবে হাওরগুলো এখনও অনেক পানি ধারনের সক্ষমতা রয়েছে। তাই বন্যার শঙ্কা নেই।
আগামী কয়েক দিন সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে।