মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুরে বিভিন্ন কবরস্থানের কঙ্কাল চোরচক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে শেরপুরের ভ্যানচালক আব্দুর রহিম,সোহেল রানা,গোলাম রব্বানী,বিল্লাল হোসেন,নরসিংদী জেলার
সোহেল রানা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার রাসেল হাওলাদার।একইদিন বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানান, পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার একটি সামাজিক কবরস্থান থেকে এবং নকলা
উপজেলায় একটি সামাজিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। এ দুটি ঘটনায় সদর ও নকলা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তকালে পুলিশ কঙ্কাল চোরচক্রের সাথে
জড়িত একটি সিন্ডিকেটকে শনাক্ত করে। পরে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার সালেহ্ আবু নাঈম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কঙ্কাল পরিবহনের কাজ করা ভ্যানচালক আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া
তথ্যমতে সোহেল রানা, গোলাম রব্বানী ও বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, কঙ্কাল চুরির পর সেগুলো ঢাকায় নিয়ে কেমিক্যাল ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও রাসেল হাওলাদারের কাছে বিক্রি করতো।
এরপর বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।পুলিশ সুপার আরও জানান, চোরচক্রের সদস্যদের মধ্যে চারজন শেরপুরের বাসিন্দা। তারা মূলত রাত ১২টার পর থেকে গভীর রাতে কবরস্থানে গিয়ে
কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করতো। এসব কঙ্কাল বস্তায় ভরে পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করতো। একেকটি কঙ্কাল ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি হয় বলেও জানান তারা।সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।