সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত চোরাচালানীদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন পাচাঁর করছে কয়লা, পাথর ও চালসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। সীমান্ত চোরাচালানীরা নিজেদেরকে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে এসব কাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বিজিবি। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানাগেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত অনুমান ১২টার সময় তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের পূর্ব লাকমা এলাকা দিয়ে ওই সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী ইয়াবা কালাম ও ইসাক মিয়া নেতৃত্বে ভারত থেকে বিপুল পরিমান কয়লার সাথে মদ পাচাঁর করে। এসময় খবর পেয়ে সীমান্তের ১১৯৭ এর ৮ এস পিলার সংলগ্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা। অন্যদিকে লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে প্রতিদিন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে লক্ষলক্ষ টাকা মূল্যে কয়লা ও পাথর আনছে সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল মিয়া, জসিম মিয়া, নবীবুল মিয়া( রফিক), এরশাদ মিয়া, নুরু মিয়া গং। কিন্তু এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ কখনোই নেওয়া হয়ন। অথচ সম্প্রতি কয়লা আনতে গিয়ে বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে একই সময়ে পাশর্^বর্তী চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা ও এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে বিজিবি ক্যাম্পের এফএস আফসারের সহযোগীতায় সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া, বাবুল মিয়া ভারত থেকে চাল, কয়লা ও বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য পাচাঁর করে। ওই সময় সীমান্তের ১১৯৫ এর ৬ এস পিলার সংলগ্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ বোতল ভারতীয় মদ পায় বিজিবি সদস্যরা। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এব্যাপারে কোন মামলাও হয়নি। অথচ সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে র্যাব ও ডিবি পুলিশসহ তাহিরপুর থানা-পুলিশ সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মদ, গাঁজা, বিড়ি, ঘোড়া ও ইয়াবাসহ লোক আটক করেছে। এব্যাপারে থানায় একাধিক মামলাও হয়েছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান বলেন- সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে আটককৃত ভারতীয় মদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে জমা করার কার্যক্রম পক্রিয়াধীন রয়েছে।