হতাশাময় একেকটি ওভার শেষে এলো একটি সুবর্ণ সুযোগ। রিভিউ নিলেই আউট লাহিরু থিরিমান্নে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক, কিপার ও বোলার নিজে, পাত্তাই দিলেন না তেমন। তবে সেই হতাশা পরে আর দীর্ঘায়িত হলো না বেশি। থিরিমান্নেকেই ফিরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ দলকে এনে দিলেন প্রথম উইকেট।
পাল্লেকে টেস্টের তৃতীয় দিনে চা বিরতির ঠিক আগের বলে শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারল বাংলাদেশ। ৩৯ ওভারে লঙ্কানদের রান ১ উইকেটে ১১৪।
দলকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিয়ে থিরিমান্নে আউট ৫৮ রান করে। লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে টিকে আছেন ৪৩ রানে। সকালে ঘণ্টা দেড়েক ব্যাট করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৭ উইকেটে ৫৪১ রান তুলে।
এরপর লাঞ্চের আগে চার ওভারের ছোট্ট স্পেলে গতি, বাউন্স আর আগ্রাসন মিলিয়ে দুই লঙ্কান ওপেনারকে নাড়িয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ৩ ওভারই তিনি নেন মেডেন। তার বলে থিরিমান্নেকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বেঁচে যান রিভিউ নিয়ে, বল চলে যাচ্ছিল অফ স্টাম্পের কয়েক সেন্টিমিটার বাইরে দিয়ে।
শুরুর সময়টুকু দাঁতে দাঁত চেপে কাটিয়ে দেওয়ার পুরস্কার লাঞ্চের পর পান করুনারত্নে ও থিরিমান্নে। লাঞ্চের পর বোলিংয়ের ধার একটু কমে আসে। বিশেষ করে আবু জায়েদ ও ইবাদত কিছু আলগা বল করেন। উইকেট থেকেও মেলেনি কোনো সহায়তা। থিরিমান্নে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে। উইকেট আগলে রাখেন করুনারত্নে।
৯৫ বলে ৭ চারে থিরিমান্নে স্পর্শ করেন ফিফটি। যেটি সবশেষ পাঁচ ইনিংসে তার চতুর্থ পঞ্চাশ। দুজনের জুটিও শতরান পেরিয়ে যায় অনায়াসে।
পেসারদের জন্য উইকেটে কিছু নেই, স্পিনাররা টার্ন পেলেও বেশির ভাগ সময়ই ছিল ধীরগতির। এর মধ্যেও ফ্লাইট ও ড্রিফট মিলিয়ে অবশ্য দারুণ বোলিং করেন মিরাজ। লঙ্কানদের কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেন তিনিই।
প্রথম উইকেট যদিও পেতে পারতেন তাইজুল। তার তীক্ষ্ণ টার্নে পরাস্ত হন থিরিমান্নে। আম্পায়ার আউট দেননি, বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। পরে তাকে সেই ৫৮ রানেই থামান মিরাজ। ঝুলিয়ে দেওয়া বলটি টার্ন না করে অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢুকে ছোবল দেয় প্যাডে। রিভিউ নিয়ে টিকতে পারেননি থিরিমান্নে। বাংলাদেশ তাই চার বিরতিতে যেতে পারে খানিকটা স্বস্তি নিয়ে।