মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর ব্যুরো। শেরপুর সদর উপজেলার ছনকান্দা মিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নান বেদু নিখোঁজ হওয়ার প্রায় তিন বছর পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনের স্বীকারোক্তি মূলক ভিডিও সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।পরে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন। অপরদিকে নিখোঁজ বেদুর ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার শেরপুর
আদালতে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত ২০ মার্চ ২০২১ তারিখে শেরপুর সদর উপজেলার ছনকান্দা মিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নান(বেদু) নিজ বাড়ি হতে নিখোঁজ হলে
তার স্ত্রী সবুজা বেগম শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেদু হত্যার বিষয়ে উপমহর্ষক একটি ভিডিও ও কিছু অডিও ভাইরাল হয়।পরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের
ছামির উদ্দিনের ছেলে মোঃ কছিম উদ্দিন (৩৭)মৃত- হোসেন আলীর ছেলে খোকা মেম্বার (৪৮), খোকা মেম্বারের ছেলে মোঃ ইসরাফিল সম্রাট (২৭) হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে সদর থানার পুলিশ ৫৪
ধারায় আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জেল হাজতে পাঠায়।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আসামীগন সংঘবদ্ধ চক্র,খুনী, হিংস্র,ক্ষতিকারক লোক।এছাড়াও মাদক সেবন,ক্রয় বিক্রয় ও সরবরাহের
সাথে জড়িত।বাদীর বাবা মৃত আব্দুল মান্নান বেদু কথিত পুলিশের গুপ্তচর ছিলেন।আসামী খোকা শিকদার মাদক মামলায় কয়েকবার পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইয়া হাজত বাস করার পর আসামীগন বাদির পিতাকে হত্যা করার গভীর
ষড়যন্ত্র করে। একপর্যায়ে বাদির পিতা আব্দুল মান্নান(বেদু) নিজ বাড়ি হতে গত ১৪ মার্চ ২০২১ তারিখে নিখোঁজ হয়। সম্প্রতি আসামীগন কর্তৃক মামলার বাদির পিতাকে হত্যার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করেন।
যা কতিপয় স্বাক্ষীগনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে সচিত্র বক্তব্য সংরক্ষনে আছে।মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম জানায়,আসামীগন পূর্বশত্রুতার জের ধরিয়া গভীর ষড়যন্ত্র পূর্বক আমার বাবকে হত্যা করিয়া মূল বিষয় ভিন্নখাতে প্রবাহের হীন চেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে।
যাহাতে আমরা অপূরনীয় ক্ষতির শিকার হইয়াছি।তিনি আরও জানায়,ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে আমি বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি।আমার পিতার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।এ ব্যাপারে মামলার
আইনজীবী এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল জানান,হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামিদের ধৃত করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করালে হত্যা রহস্যের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
এছাড়াও ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও অডিও রেকর্ড এ হত্যা কান্ডের বিষয়টি প্রমাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।