কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান (২০)কে
গ্রেপ্তার করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রোববার (৫ মে) কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, দলদলিয়া ইউনিয়নে। উলিপুর থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের ওই শিক্ষার্থী এ বছর দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রতিবেশি তফির উদ্দিনের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান(২০) ওই শিক্ষার্থীসহ একই মাদ্রসায় পড়ার সুবাদে প্রায় সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই শিক্ষার্থী প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দিলে সিদ্দিকুর আত্মহত্যাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি
দেখান। এক পর্যায়ে উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিদ্দিকুর রহমান ওই শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষন করেন। গত ১ মে দুপুরে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে পুণরায় ধর্ষন করেন। এ সময় শিক্ষার্থী চিৎকার করলে সিদ্দিকুরের পরিবারের লোকজন
এসে তাদের বিয়ে দেয়ার সম্মতি জানিয়ে পাশ্ববর্তী দূর্গাপুর ইউনিয়নে এক আত্বিয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পথিমধ্যে সিদ্দিকুর রহমান ওই ইউনিয়নের পাঁচপীর বাজারে শিক্ষার্থীকে রেখে সটকে পড়েন। এ দিকে দীর্ঘ সময় সিদ্দিকুর রহমান ফিরে না আসায় ওই শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েন। এ সময় এলাকার লোকজন শিক্ষার্থীর
কাছে ঘটনা শুনে স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে তাকে বাড়িয়ে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে শনিবার (৪ মে) রাতে উলিপুর থানায় মামলা করেন। এরপর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হলে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য রোববার (৫ মে) কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।