মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া সরকারপাড়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর এমদাদুল হক মিলন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মো.কাজল মিয়াকে ২ মাস ৬ দিন পর গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে শ্রীবরর্দী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো.কাজল মিয়া ওই গ্রামের মো.তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।র্যাবের প্রেস ব্রিফিং সুত্রে জানা গেছে,নিহত
এমদাদুল হক মিলন শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকারপাড়া গ্রামের মো.আবুল কাশেম এর ছেলে। নিহত মিলন মিয়া ও মো.কাজল মিয়ার পরিবারের সাথে আসামী মো.কাজল মিয়ার পরিবারের দীর্ঘদিন
যাবৎ বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়ে দ্বন্দ কলহ চলে আসছিল তার মধ্যে আবারও সেই সময়ে একটি ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনের দ্বন্দ্বে চুড়ান্ত রুপনেয় সেই কলহের জের ধরে নিহত হয় এমদাদুল হক মিলন।
এবং তার পরিবারের ক্ষতিসাধন করার নিমিত্তে আসামীরা বিভিন্ন অযুহাতে বাকবিতন্ডা করে আসছিলেন।এরই ধারাবাহিতায় ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল গতছোট ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা সময় অনুমানিক ৭ টার দিকে
এমদাদুল হক মিলন ও তার বড় ভাই মো. হাশেম আলী স্থানীয় তেতুলতলা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ঘাগড়া সরকারপাড়া সাকিনস্থ ঈদগাঁহ মাঠের পাশে পৌঁছানো মাত্রই আসামী মো.কাজল মিয়াসহ অন্যান্য
এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামীগন পূর্ব থেকেই রড,লাঠি ও মারাত্মক দেশিয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে এমদাদুল হক মিলনকে খুন করার উদ্দেশ্যে পথ রোধ করে অতর্কিত হামলা করে। উক্ত হামলায় এমদাদুল হক
মিলন ও তার বড় ভাই মো. হাশেম আলী গুরুতর ভাবে আহত হয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা এমদাদুল হক মিলন ও তার বড় ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এর পর অবস্থা আসংখ্যা জনক হওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।পরবর্তীতে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে এমদাদুল হক মিলন ও তার বড় ভাইকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে রেফার্ড করেন।সেখানে এমদাদুল হক মিলন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় পরদিন মৃত্যুবরণ করেন মৃত্যুবরণ করেন।সেদিনই তার স্ত্রী মোছা.লাবনী আক্তার বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
পরবর্তীতে এমদাদুল হক মিলন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ এপ্রিল দুপুরে মৃত্যুবরণ করলে। এরপর নিহতের বড় ভাই মো. হাশেম আলীবাদী হয়ে ১৭ জনকে স্বনামে আসামি আরও
১০/১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।উক্ত ঘটনার পর থেকেই এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীগণ গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলেযান।
এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব-১৪,সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে শ্রীবরদীর ভায়াডাঙ্গা বাজারে মো.কাজল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।পরে তাকে উক্ত মামলায় ঝিনাইগাতী থানায় হস্তান্তর করেন।