বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
spot_img
Homeচাকরীমতির শোষণ থেকে বাঁচতে চায় টঙ্গীর বেক্সসিমকো কারখানার শ্রমিকরা

মতির শোষণ থেকে বাঁচতে চায় টঙ্গীর বেক্সসিমকো কারখানার শ্রমিকরা

বশিরআলম,গাজীপুর টঙ্গীতে তুমুল বৃষ্টি কাটিয়ে নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে যোগ দিয়েছেন বেক্সসিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সকল অস্থায়ী শ্রমিকরা। বুধবার (২১ আগষ্ট) সকালে টঙ্গী চেরাগ

আলী কাঁঠালদিয়া রোডে অবস্থিত বেক্সসিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। দ্রব্যমূল্য ও জীবন যাপনের ব্যয় বিবেচনা করে ভরা রাজপথে বৈষম্য বিরোধী শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য

অধিকারের পুরনো দাবিগুলো আরো একবার তুলে ধরেছে। আন্দোলনরত শ্রমিক ফয়সাল আহমেদ বলেন, তাদের শ্রম ঘণ্টা, ন্যায্য মজুরি, কাজের স্থায়ীকরন নিশ্চিয়তা এবং নিরাপত্তা কোনটাই নাই। তিনি বলেন,

সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আদায় করতে পারিনি। আমাদের বর্তমান দিন হাজিরা ৩৫০ টাকা এখন থেকে

আবার ১৫ টাকা করে সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া হয়। অনেক শ্রমিক ১০/১২ বছর যাবৎ কাজ করছেন কিন্তু তাদেরকে স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। তাদের শুরুতে যে বেতন সে বেতনই আছে। এগুলো সেচ্ছাচারীতা ছাড়া

কিছুই না। ক্ষমতার অপব্যবহারে কি করা যাবে আর কি করা যায় না তা তারা ভুলেই গেছেন।শ্রমিক শাহাআলম বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরমে, শ্রমিকরা দুই বেলা ভাত জোটাতে পারছে না। এ স্বল্প বেতনে অসুস্থ

হলে চিকিৎসা করাতে পারছেনা। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আন্দোলনে উপস্থিত শ্রমিকদের দাবি,কোহিনূর ট্রেডাস স্বত্বাধিকারী ক্ষমতাসীন অস্থায়ী শ্রমিক কন্ট্রাক্টর মতিন আমাদের শ্রমিকদের একদিকে

সীমাহীন চরম শোষণ-বঞ্চনার নিষ্ঠুর শিকারে পরিণত করেছে। অন্যদিকে প্রতিবাদের অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। তারা নিজেদের কল্যাণে ব্যস্ত। এতদিন আমরা কিছুই করতে

পারিনি। কিন্তু এখন সময় এসেছে কর্ম ক্ষেত্রে বৈষম্যতা দুরীকরনে এবং ন্যায্য দাবি আদায়ের। এ সময় বেক্সসিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর বৈষম্য বিরোধী শ্রমিক আন্দোলন সকল অস্থায়ী শ্রমিক (ডিএল) তাদের ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন:

১. একজন অস্থায়ী শ্রমিকের চাকরির বয়স ৫ বছর পূর্ণ হলে স্থায়ীকরণ করতে হবে।
২. দৈনিক হাজিরা সর্বনিম্ন ৫০০ শত টাকা করতে হবে।
৩.খাবারের বৈষম্য বন্ধ করতে হবে।
৪. ঈদ বোনাস সর্বনিম্ন ৬০০০ হাজার টাকা করতে হবে।
৫. এ যাবৎ অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে যাদের চাকরির বয়স ইতিমধ্যে ১৫ বছর সম্পূর্ণ হয়েছে চাকরি থেকে অবসরকালীন সময় তাদের সর্বনিম্ন একটি সম্মানী ভাতা প্রদান করতে হবে।
৬. এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।

উপরোক্ত দাবি আদায়ে বেক্সসিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সকল অস্থায়ী শ্রমিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে কন্ট্রাক্টর মতিনের সকল অন্যায় অপকর্মে সকল শ্রমিক ভাইদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলেনে থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এ বিষয়ে বেক্সসিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের অস্থায়ী শ্রমিকদের কন্ট্রাক্টর মতিন হোসেন একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। কোহিনুর ট্রেডার্স এর ম্যানেজার সুমন জানান শ্রমিকরা এমনটা করবে ভেবে পারছিনা। শ্রমিক নিয়োগের বিধিমালা দেওয়া রয়েছে। এ বিষয়ে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে কেউই গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি ।।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ